অর্থনীতির সব মানদণ্ডে পাকিস্তানের থেকে বহুগুণ এগিয়ে বাংলাদেশ

অর্থনীতির সব রকমের মানদণ্ডে পাকিস্তানের থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৩-২৪ সালে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রেই পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটি সম্প্রতি ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট এবং ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধির বিষয়ে জানিয়েছে। অপরদিকে গেল অর্থ বছর, ২০২২-২৩ বর্ষে দেশটির জিডিপি বৃদ্ধির হার মাত্র ০.২৯ শতাংশ।
পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে মাত্র ৪ বিলিয়ন ডলারের কম রয়েছে। যতটুকু আছে তারও বেশিরভাগ বন্ধু দেশগুলোর থেকে ঋণ করা। এ দিয়ে মাত্র এক মাসের কম সময়ের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে পাকিস্তান। সম্প্রতি ডলার সংকটে ইরান, রাশিয়া ও আফগানিস্তানের সঙ্গে বার্টার বাণিজ্যের পথ বেছে নিয়েছে দেশটি।
অপরদিকে নতুন অর্থ বছরে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পাকিস্তানের বর্তমানে পাকিস্তানের মোট অর্থনীতির মূল্য ভারীয় মুদ্রায় মাত্র ৮৪.৭ লাখ কোটি টাকা। এদিকে ভারতের মোট জিডিপি ২৭২.৪১ লাখ কোটি বা ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের অর্থনীতি ভারতের প্রায় তিনগুণ ছোট।
স্বাধীনতার পর ৫২ বছর পর বাংলাদেশের রপ্তানি মোট ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের রপ্তানি এখনও ৩১.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে আটকে রয়েছে। চলতি বছরে দেশের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে স্থির করা হয়েছে। এদিকে পাকিস্তানের লক্ষ্য মাত্র ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পরিসংখ্যান অনুসারে, পাকিস্তান মাত্র ২১.৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত রপ্তানি ও পরিষেবা দিতে সক্ষম যা বাংলাদেশের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।
সম্প্রতি জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তান বর্তমানে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে ভুগছে। এতে জনসাধারণের জীবনযাত্রা কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ক্রমেই অন্ধকার নামছে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং বহিরাগত ঋণ পরিশোধের মতো অনিশ্চিত বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। মন্ত্রণালয় তাদের মাসিক আউটলুক বুলেটিনে জানিয়েছে, মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৩৪-৩৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
গত ২০২১-২২ অর্থবর্ষে পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ছিল বছরে ১৬১৩.৮ ডলার। এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা ১১ শতাংশ কমে গিয়েছে। এই আবহে গতবছর পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় গিয়ে ঠেকে ১৩৯৯.১ ডলারে।
অপরদিকে ১১ জুন, সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের টেবিলে উপস্থাপিত এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলার যা পাকিস্তানের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি
(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/এসএটি)

মন্তব্য করুন