পাসপোর্ট করতে গিয়ে রোহিঙ্গাসহ আটক ৭
ঢাকা জেলার ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গাসহ সাতজনকে আটক করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ। বুধবার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কাযালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- হাবিব উল্লাহ ওরফে আবু হোজাইফা ওরফে আবু বক্কর, মঞ্জু মোর্শেদ, সাফায়েত আহমেদ সাহিদ, সামিউল হক ওরফে রাজু, নুর আলম, আবেদ হোসেন ও রিয়াজুল হক ওরফে রিয়াজ। এদের মধ্যে রিয়াজ রোহিঙ্গা। এ সময় তাদের কাছ থেকে নয়টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, তিনটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ও তিনটি পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, চক্রটির প্রধান হাবিব উল্লাহ ওরফে আবু হোজাইফা ওরফে আবু বক্কর। মঙ্গলবার দিনভর ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আসাদুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি আশুলিয়া থানায় এক নারীর পাসপোর্ট আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত করতে মাঠে যায় ঢাকা জেলা পুলিশের এসবি শাখার এক সদস্য। পরে তিনি গিয়ে দেখেন সেই ঠিকানায় ওই নামে কোনো নারী থাকেন না। কিন্তু তার হয়ে আবেদ নামে এক ব্যক্তি কাগজপত্র নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি সন্দেহ হয়। এরপর তাকে আটক করা হলে তিনি স্বীকার করেন রাজু নামে এক ব্যক্তির হয়ে তিনি এ কাজটি করছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেই আবেদ পুলিশকে জানায় যে, ফাতেমা সেই নারীর কেউ হন না। মূলত রাজুর নির্দেশে তিনি কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন। কিন্তু সেই আবেদকে ছাড়িয়ে নিতে রাজু তার সহযোগী নুর আলমকে পাঠান। এসময় নুর আলমকেও আটক করা হয়। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের সদস্য বলে স্বীকার করে। তাদের এই চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন রোহিঙ্গাদের জালিয়াতি করে পাসপোর্ট দিয়ে আসছিল। অবশেষে চক্রটির সাত সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
ঢাকার এসপি বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করে দিচ্ছিল, যা ব্যবহার করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি নাগরিক পরিচয়ে বিদেশে যাচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২১জুন/এএ/কেএম)