ভারী বৃষ্টিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে জলাবদ্ধতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস '
 | প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০২৩, ১৫:৩৫

ভারী বৃষ্টিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় শহরের অনেক সড়ক। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন শহরের বাসিন্দারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শহরের অধিকাংশ খাল ও নালা দখল হয়ে যাওয়ায় এমন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

ভারী বৃষ্টিতে শহরের কালিবাড়ি মোড় থেকে দক্ষিণ পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড, মেড্ডা পোদ্দার বাড়ি রোড, পৌর কলেজ রোড, মধ্য মেড্ডা, ফুলবাড়িয়া, হালদারপাড়া, অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা, মুন্সেফপাড়া, কাউতলী স্টেডিয়াম এলাকা, পুরাতন জেল রোড, পাইকপাড়া রামকানাই হাই একাডেমির সামনের রাস্তা, আনন্দবাজারের রাস্তা, কাজিপাড়া, মৌড়াইলসহ শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার প্রধান প্রধান রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। এই জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েন শহরবাসী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, কালিবাড়ি মোড় থেকে দক্ষিণ পৈরতলা সড়কের পানি কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে শহর খালে নামে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল দক্ষিণ পৈরতলা বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশের একটি খাল। যেটি কোনো স্থানে ১০ ফুট, আবার কোনো স্থানে ১৫ ফুট প্রশস্ত ছিল। কিন্তু এখন এই খালটি মাত্র দুই ফুটের ড্রেনে পরিণত হয়েছে। এছাড়া শহরের কান্দিপাড়া মাদরাসা রোড মোড় ও মেড্ডায় দুটি নালার অস্তিত্ব একেবারে মুছে ফেলা হয়েছে।

কামাল আহমেদ নামে পৌরসভার এক বাসিন্দা ঢাকা টাইমসকে বলেন, কান্দিপাড়া মাদরাসা রোডে কয়েকটি নালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে বৃষ্টির পানি বের হতে পারে না।

পৌর এলাকার মেড্ডা পোদ্দার বাড়ি রোডের ফার্নিচার ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, আগে শহরে পানি নিষ্কাশনের জন্য বড় বড় খাল ও নালা ছিল। বেশকিছু বড় খাল এখন ড্রেনে পরিণত হয়েছে। বেশকিছু খাল প্রভাবশালীরা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এছাড়া পৌর শহরের ড্রেনগুলো পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিয়মিত পরিষ্কার করেন না। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুন নূর ঢাকা টাইমসকে বলেন, শহরের খাল ও ড্রেনগুলোর অধিকাংশই প্রভাবশালীরা দখল করে ফেলেছেন। এছাড়া অবশিষ্ট ড্রেনগুলো পৌরসভার লোকজন নিয়মিত পরিষ্কার করেন না। ফলে বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

দ্রুত শহরের ড্রেনগুলো পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা চালু করার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউসার আহমেদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, পৌরসভায় জনবল সঙ্কট রয়েছে। এছাড়া মানুষ নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য না ফেলে যেখানে-সেখানে ফেলছে। শহরের পশ্চিম অংশে ফোর লেন প্রকল্পের আওতায় ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে ফলে পানি সরছেনা। যে কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। কাজ শেষ হলে এ সমস্যা থাকবে না।

আরও পড়ুন: পাহাড়ে কাজু বাদামে স্বপ্ন বুনছেন শেরপুরের বাগানিরা

এছাড়া জেলা পরিষদ মার্কেট থেকে খাল পর্যন্ত সড়কের পাশে পাইপের নালা নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ। ওই পাইপের নালার চেম্বারগুলো ৫০-৬০ ফুট দূরত্বে স্থাপিত। এতে পরিষ্কার করতে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া শহরের বিভিন্ন ড্রেন সংস্কারেরও পরিকল্পনা রয়েছে পৌরসভার।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :