বিমানে প্রশ্নপত্র ফাঁস: ৩০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
বিমানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), যার মধ্যে ২৬ জনই বিমান বাংলাদেশের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে ১০ জন বিমান কর্মকর্তা-কর্মচারী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’
বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
হারুন জানান, জিএম অ্যাডমিনের রুম থেকে জাহিদ প্রশ্ন নিয়ে পরে তা কপি করে বিমানের এমডির পিয়নের সাহায্যে বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতেন। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই প্রশ্নপত্র সরবরাহ করতেন বলে জানান তিনি।
তবে চার্জশিটে বিমানের কাদের নাম রয়েছে সেটা জানাননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গত ২১ অক্টোবর বিমানের ১২টি পদে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু পরীক্ষার আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এজন্য পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সেসময় ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ জানিয়েছিলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, পরীক্ষা বাতিল ও সার্বিক তদন্তে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মোট দশজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে ও গ্রেপ্তার ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্পষ্ট হয়েছে এমডির কক্ষ থেকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। তখন ৫০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছিল। আরও অনেক ব্লাঙ্ক চেক উদ্ধার করা হয়।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছিল, বিমান বাংলাদেশ একটি পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান। প্রশ্নফাঁস করেছেন জাহিদ নামে এমডির অফিস সহকারী। নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে একটি কমিটি রয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেননি। এজন্য প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘটনা ঘটেছিল।
(ঢাকাটাইমস/০৫জুলাই/এসএস/এফএ)