বিস্ফোরক উদ্ধারের দাবি

কুলাউড়ায় অভিযানে আটককৃতরা ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’র অনুসারী

আব্দুল বাছিত বাচ্চু, মৌলভীবাজার
| আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৩, ১৪:৩১ | প্রকাশিত : ১২ আগস্ট ২০২৩, ১৩:৪৪

মৌলভীবাজারে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টার এক রুদ্ধশ্বাস অভিযানে 'ইমাম মাহমুদের কাফেলা' নামক নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনের ১০ জনকে আটকের দাবি করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। শনিবার ভোরে জেলার কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্টিউলি যুগিটলা নামক পাহাড়ি টিলার একটি বাড়িতে সিটিটিসি ও সোয়াট অভিযান চালায়। এসময় চারজন পুরুষ, ছয়জন নারীকে আটক করা হয়। এছাড়াও তিন শিশুকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন হিলসাইড’।

শুক্রবার রাতে ওই বাড়িটি ঘিরে রাখে সিটিটিসি ও স্থানীয় পুলিশ। অভিযান শেষে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান যুগ্ম কমিশনার আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে গণমাধ্যম কর্মীদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আসে গত ৮-১০ দিন আগে। এর আলোকে আমাদের অভিযান শুরু হয়। এক জঙ্গি শুক্রবার পরিবারের লোকদের আনতে ঢাকায় গেলে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামক নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তার পরপরই আমাদের বিভিন্ন ইউনিট বাড়িটি ঘিরে রাখে। পরে পুলিশের জঙ্গিবিরোধী ইউনিট সোয়াত এই অভিযানে যোগ দেয়। আমরা আজ ভোর সাড়ে ছয়টায় অভিযান শুরু করি এবং বলপ্রয়োগ ছাড়াই সকাল সাড়ে ১০টায় 'অপারেশন হিলসাইড' নামক আমাদের এই অভিযান শেষ হয়।

সিটিটিসিপ্রধান বলেন, অভিযানকালে আমরা ১০ জন জঙ্গিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও ছয়জন নারী। তাদের সঙ্গে তিন শিশুও রয়েছে।

আটকদের মধ্যে শুধু পুরুষদের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- রফিক উদ্দিন, আব্দুল হাফিজ, খায়রুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম। তাদের বাড়ি সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেলায়।

তিনি জানান, আটক জঙ্গিদের কাছ থেকে ৩ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, ৫০টি ডেটোনেটর, নগদ ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা, অনেক জিহাদি বই, প্রশিক্ষণ সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের মজুতকৃত অনেক খাদ্যদ্রব্যও পাওয়া গেছে।

আসাদুজ্জামান দাবি করেন, আটক জঙ্গিদের ভাষ্য জঙ্গিরা এই জমি কিনে প্রায় দেড় মাস আগে এখানে আস্তানা গড়ে তোলেন। এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান করার পরিকল্পনা নিয়েছিল এই জঙ্গি সংগঠন।

তিনি এই জঙ্গি সংগঠন অঙ্কুরে বিনষ্ট করতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন।

স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসিপ্রধান বলেন, তাদের কাছে এখানে কারা আসতো এবং তাদের সহযোগীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি এই অভিযান সফল করতে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মনজুর রহমান এবং কুলাউড়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছালেকসহ স্থানীয় পুলিশ সদস্য এবং গণমাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্গম পাহাড়ের বাড়িটি ঘিরে রাখার পর পুরো রাতব্যাপী এখানে কৌতূহলী মানুষ এবং গণমাধ্যম কর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :