ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৭: তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ

কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে গত সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত ১৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম রেলওয়ের চিফ অপারেটিং সুপারিটেনডেন্ট (পূর্ব) মো. শহিদুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পূর্ব) তাফস কুমার দাস, চিফ ইঞ্জিনিয়ার (পূর্ব) মো. আবু জাফর মিয়া। (বর্তমানে অফিসিয়ালি ট্রেনিং এ দেশের বাইরে থাকাতে) সহকারী চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. আরমান হোসেন, চিফ সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার সুশীল কুমার হালদার (পূর্ব), চিফ মেডিকেল অফিসার (পূর্ব) আহাদ আলী সরকার। তদন্ত কমিটিকে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক চীফ অপারেটিং সুপারিটেনডেন্ট (পূর্ব) মো. শহিদুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, এ মুহুর্তে আমি কিছু বলতে পারছি না। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু বলতে পারব না।
ঘটনার দিন ঢাকা থেকে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করছিল। তার আগ মুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারসিন্ধুর ট্রেন ঢাকার দিকে আসছিল। জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এগারসিন্দুর ট্রেনের শেষের দু-তিনটি বগিতে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করে। সিগনালিংয়ের কোনো জটিলতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল, আর যাত্রীবাহী এগারোসিন্ধু ট্রেনটি যাচ্ছিল ভৈরব থেকে ঢাকার দিকে। ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এ সময় যাত্রীবাহী ট্রেনের দুটি বগি উল্টে গিয়ে ঘটনাস্থলে ১৭ জন মারা যায়।
(ঢাকাটাইমস/২৫ অক্টোবর/ইএইচ)

মন্তব্য করুন