হরতাল-অবরোধের শিকার খেটে খাওয়া শ্রমিক ও মধ্যবিত্তরা

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৩৭

রাজধানীতে ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে সংঘর্ষের পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় অবরোধ-ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্দশা বেড়েই চলছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সব ধরনের পণ্য, বিশেষ করে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট-অবরোধের নতুন যৌক্তিকতা রয়েছে। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইঙ্গিত দেয়, হয়তো আগামী দিনগুলো আরও বেশি জটিল হয়ে উঠবে। চলমান হরতাল-অবরোধের দুর্ভোগ নিয়ে ঢাকা টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছে নানা শ্রেণির পেশার মানুষ।

ব্যাংকার মো. এয়াকুব দৈন্দিন জীবনের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন। বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যদ্ধের প্রভাব ইতোমধ্যে দেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয় ও ডলার ইস্যুটি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান, রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে এবং প্রতিদিনের পণ্যের দাম বাড়ছে। সামনে সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে হরতাল-অবরোধের মতো কিছু রাজনৈতিক দলের অনড় প্ল্যাটফর্মের কারণে দেশের অর্থনীতি এখন অস্পষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে একদিনের হরতাল এবং দুই দফায় তিন দিন ও দুই দিনের অবরোধের পর আবারও দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি জামায়াত।

এ কয়দিনের অবরোধের অফিসে যাওয়া থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা ঘাটে ঘাটে দ্বিগুণ টাকা গুণতে হচ্ছে। তবে লাগাতার আন্দোলনের কারণে একদিকে যেমন পরিবহন ঝুঁকি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ নানা কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলছে। আমরা মধ্যবৃত্তরাই স্বীকার এসব ভোগান্তির বেশি।

বহাদ্দারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাফর জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে। রাজনৈতিক সংকট সমাধানে দু-দলের সমঝোতা চাই আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীরা। অসহিষ্ণুতা কোনোভাবেই শান্তি বয়ে আনবে না বলে মনে করেন তারা। জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ফিরতে চান সকলে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জানমালের ক্ষতি চান না তারা। রাজনৈতিক দলগুলো দিন শেষে ভোটের হিসেব নয়, মানুষের ভালো থাকার আলোচনা করবে বলে প্রত্যাশা আমাদের মতো সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

সিএনজি অটোরিকশা চালক জামাল বলেন, ভাই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছি,পারিবারিক অবসথার কাণে আজ বাড়ায় সিএনজি চালায়, হরতাল-অবরোধে বিপাকে আমরা খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষেরা খুব অসহায়। হরতাল-অবরোধে যাত্রী কম থাকায় কোম্পানির ভাড়া দেয়ার টেনশন তার ওপরে কে কোন দিক থেকে এসে গাড়িতে আগুন দেয় তার টেনশন । এ রকম আমি নই, চট্টগ্রাম শহরের অধিকাংশ সিএনজি চালকের এ অবস্থা। এ ছাড়া আয়হীন হয়ে পড়েন কয়েক হাজার সিএনজি চালক শ্রমিক। আমরা যেহেতু সিএনজি চালক আমাদেও সঙ্গে যাত্রীদের সম্পর্ক বেশি। তাই পাশাপাশি সীমাহীন দুর্ভোগে যাচ্ছে অফিসগামী সাধারণ মানুষেরা।

গার্মেন্টস কর্মী রাশেদ জানান, আমার বাসা থেকে প্রতিদিন কাজে যেতে গাড়ি ভাড়া দিতে হয় আসা যাওয়া ৭০ টাকা। অবরোধ হরতালের কারণে এখন প্রতিদিন গাড়ি ভাড়া দিতে হয় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এখন চিন্তায় রাতে ঘুম আসে না, মাস শেষে কীভাবে ঘর ভাড়া দেব? কী করে বাচ্চার স্কুলের খরচ মেটাবো? কোম্পানি তো আগের সেই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে আর যেন হরতাল অবরোধ না দেয়।

নগরের বাসচালক ইদ্রিস বলেন, ‘গাড়ি চললে টাকা পাই, না চললে টাকা পাই না। এ রকম কর্মসূচি বেশি দিন চলতে থাকলেও আমার মতো কয়েক হাজার মানুষ সংসার চালাতে গিয়ে পাগল হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে আগামীতে এমন কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান জানাই।’

(ssঢাকাটাইমস/০৯নভেম্বর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

চুয়াডাঙ্গায় দশ কেজি গাঁজাসহ দুই  মাদককারবারি গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তাবন্দি স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি

মফস্বল সাংবাদিকেদের ওয়েজ বোর্ডের আওতার আনার দাবি

আ.লীগ বিভ্রান্তিকর কথা বলে নিজেদের ভেতরকার অস্থিরতা আড়াল করছে: প্রিন্স

‘ওরাল ক্যান্সার’ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর

‘মনে হয় আত্মহত্যা করি, তাতে যদি বেঁচে যাই!’

ফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সাতক্ষীরা মেডিকেলের ডা. মাহমুদুল হাসান

গাজীপুরে দুর্ঘটনা: দুই ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

শ্রীপুরে তীব্র দাবদাহে ঝরে পড়ছে লিচু

চেয়ারম্যানের উঠান বৈঠকে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ বদির বিরুদ্ধে

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :