আমার কাছে ক্ষমতা নয়, মানুষ ও দেশ বড়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার কাছে ক্ষমতা বড় নয়। দেশের মানুষ ও দেশ বড়। আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, দেশের সম্পদ দিয়ে ক্ষমতায় আসার লোভ আমার নেই।
রবিবার দুপুরে নরসিংদীর ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় সার কারখানা স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ১৯ বছর পর রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে নরসিংদী পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে পরাজিত করা হয়। সে সময় একটা অফার এসেছিল। কিন্তু আমি বলেছিলাম দেশের মানুষের জন্য ৫০ বছরের গ্যাস রেখে তারপর যদি থাকে তাহলে দেবো। আমেরিকার রাষ্ট্রপতিকে আমি গ্যাস না দিলেও খালেদা জিয়া গ্যাস দিবে বলে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসে। তখন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়াকে বাহবা দিয়েছিল। আমার দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা সেটা আমি চাই না। আমার কাছে ক্ষমতা বড় নয়। দেশের মানুষ ও দেশ বড়।’
প্রধানমমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ায় যখন হাত দেন তখন আমাদের দেশে কোনো রিজার্ভ ছিল না। তারপরও মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু ঘাতকরা আমার বাবাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশ আবার পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘যুদ্ধের পর বাংলাদেশের সব শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশের সব শিল্প-কারখানার বেশির ভাগ মালিক ছিল পাকিস্তানিরা। তাই যুদ্ধের পর বাংলাদেশে শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। মা যেমন একাটা রুগ্ন সন্তানকে লালনপালন করে সুস্থ করে তোলে জাতির পিতা দেশের শিল্প-কারখানাগুলোকে এভাবেই গড়ে তুলেছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে অনেক বাধা এসেছে কিন্তু আমাকে কেউ থামাতে পারেনি। বাংলাদেশ উন্নয়ন-অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে। দেশ আর কখনো পিছিয়ে যাবে না। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি কেউ থামাতে পারবে না। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, কারো কাছে হাত পাততে হবে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মধ্যে পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে। কৃষকরা স্বল্পমূল্যে সার পাবে।’
(ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/জেএ/এফএ)