নির্বাচনে অংশ না নেওয়া রওশন এরশাদের খুব ভালো সিদ্ধান্ত, স্যালুট: চুন্নু

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন না জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, জাপা মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের নেতাদের অবমূল্যায়ন করেছে। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু অসহযোগিতা করেছেন। এ কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। বুধবার রাতে ঢাকার গুলশানের বাসায় অনুসারীদের নিয়ে এক বৈঠকের পর তিনি এই ঘোষণা দেন।
নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনের আগের রাতে রওশন এরশাদের নাটকীয় এই ঘোষণার বিষয়ে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ঢাকা টাইমসকে বলেছেন, ‘ম্যাডাম খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি তার সিদ্ধান্তকে স্বাগত ও স্যালুট জানাই। কারণ তিনি আমাদের সবার কাছে শ্রদ্ধার। তিনি বয়োবৃদ্ধা ও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। নির্বাচন করার মতো শারীরিক অবস্থায় তিনি আসলে নেই। কিন্তু কয়েকজন ব্যক্তি তার নাম ব্যবহার করে দলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিল। এতে তিনি হেয় হচ্ছিলেন। নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি সেটা থেকে মুক্ত হলেন। দলেও আর কোনো বিভ্রান্তি থাকবে না।’
এদিকে রওশন এরশাদ ও তার ছেলে সাদ এরশাদকে জাপার মনোনয়ন ফরম দিতে গতকাল রাত নয়টা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন কর্মকর্তারা। তবে রওশন ও সাদ কিংবা তাদের পক্ষে কেউ ফরম নেননি।
এর আগে রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৪ আসনের মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। বর্তমানেও তিনি ওই আসনের এমপি। আর জাতীয় পার্টি যে ২৮৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তাতেও ময়মনসিংহ-৪ আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। রওশন এরশাদ শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না করলে তার আসনে দলের ময়মনসিংহ সদর উপজেলা সভাপতি আবু মো. মুছা সরকার নির্বাচন করবেন। তাকে ঢাকায় থাকতে ইতোমধ্যে দলের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দিয়ে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাপার নিয়ন্ত্রণ ও নির্দিষ্ট আসনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছে। কয়েকদিন আগেও জিএম কাদের গিয়ে রওশনের সঙ্গে বৈঠক করলেও দেবর-ভাবির দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি।
(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/এসএম/জেবি)

মন্তব্য করুন