নির্বাচন নিয়ে আরও চমক আছে: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৩:৩২| আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৩:৫৫
অ- অ+

শরিকদের হতাশ করেনি আওয়ামী লীগ। নির্বাচন নিয়ে আরও চমক আছে। চমকের জন্য নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক পাঠানো না পাঠানো তাদের বিষয়টি। জাতিসংঘ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠালেও যুক্তরাষ্ট্র কমনওয়েলথসহ অনেকে পাঠাচ্ছে। এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে প্রায় শতাধিক পর্যবেক্ষকের নাম চলে এসেছে। তারা যদি মনে করে পাঠাবে। আওয়ামী লীগ সবসময় বলে আসছে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলে। নির্বাচন নিয়ে অনেক বিভ্রান্তির পরও আমরা চিন্তিত নই। জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃণমূল বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ নির্বাচনের চমক। আরও চমকের জন্য নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শরিকদের হতাশ করা হয়নি। এখনো আসন বণ্টনের সুযোগ রয়েছে। শরিকদের সংগঠিত করতে গিয়ে জয়ের সম্ভাবনাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জনমত বিবেচনা করেই শরিকদের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশে উৎসব উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। জনগণের অংশগ্রহণে একটি ভালো নির্বাচন হবে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের মধ্য জাগরণ দেখা যাচ্ছে। আগামী নির্বাচন ভোটারবিহীন হবে না।

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল, অনেকেই দলীয় মনোনয়ন চেয়েছে এবং প্রার্থী হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দেখা যাক, কতজন থাকে। ১৬ তারিখ পর্যন্ত দেখবো কে বিদ্রোহী কে স্বতন্ত্র।

সুষ্ঠু নির্বাচনে সবার সহযোগিতা চায় আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে দলীয় প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নির্বাচনি আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার আচরণের সীমা মেনে চলবেন। এটা আমরা আশা করি । তাকে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ-বিপক্ষে থাকা উচিত নয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন, নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন তাদেরকেই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত। বিএনপির নেতাকর্মীরা হঠাৎ করে চোরাগোপ্তা হামলা করেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা হঠাৎ করেই গর্ত থেকে বের হয়। কে কোথা বের হয়ে কি করে, কি বলে। বিএনপির শেষ কথার পর আওয়ামী লীগের কোনো আহ্বান থাকতে পারে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/জেএ/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
খুলনায় শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে সংবাদ, পত্রিকা অফিসে অগ্নিসংযোগ
ড্রেজিং কাজে পাঁচদিন বন্ধ থাকবে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট
পোপ হলেন উত্তর আমেরিকান রবার্ট প্রিভোস্ট, বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন
আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে রাতভর অবস্থানের পর সকালেও বিক্ষোভ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা