টিকলো ইবরাহিমের মনোনয়ন, বাতিল নৌকার সালাহ উদ্দিনের

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদ এর মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে এ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রবিবার কক্সবাজারের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, জনতা ব্যাংক লালদীঘি শাখা থেকে 'ফিস প্রিজারভারস' নামক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সালাহ উদ্দিন আহমদসহ অন্য পরিচালকরা প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যা পরবর্তীতে খেলাপি হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন হলেও ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ এখনো সেই ঋণের একজন জামিনদার।

সে হিসেবে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনও বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ একজন ঋণখেলাপি ছিলেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, যে অজুহাতে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে সেটি আদালতের মাধ্যমে স্টে (স্থগিত) করা ছিল। কেন মনোনয়ন বাতিল করা হলো আমি জানি না। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করবো।

কক্সবাজার-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের জাফর আলম। তিনি ও তাঁর ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাঁদের দুজনের মনোনয়নপত্রই বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, যাচাই-বাছাইয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, কমর উদ্দিন আরমান, শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলিয়াছ ও শাহনেওয়াজ চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ, জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী হোসনে আরা, ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম ও জাফর আলমের ছেলে তানভির আহমদ সিদ্দিকী।

(ঢাকাটাইমস/০৩ডিসেম্বর/এআর)