৮৫তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে কমিশন পেলেন ২৬০ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ) এর ৮৫তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে কমিশন পেয়েছেন ২৬০ জন কর্মকর্তা।
সোমবার সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিস্থ বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে কৃতি ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের উদ্দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিক-নির্দেশনামূলক ঐতিহাসিক ভাষণের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আজ এই শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তোমাদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব।
এসময় জাতির পিতার হাতে গড়া এই সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃংখল এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সেনা প্রধান।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, দীর্ঘ তিন বছরের কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে ৮৫তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সর্বমোট ২৫০ জন অফিসার ক্যাডেট এবং এক বছরের সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে ৫৮তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ৩ জন অফিসার ক্যাডেট এবং ৭ জন ট্রেইনি অফিসার কমিশন লাভ করেন। তাদের মধ্যে ২২৮ জন পুরুষ ও ৩১ জন নারী অফিসার রয়েছেন। এছাড়াও কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে ১ জন শ্রীলংকান নাগরিক রয়েছেন যিনি নিজ দেশের সেনাবাহিনীতে যোগদান করবেন।
সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার এ এম সানজিদ ৮৫তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে সেরা চৌকস ক্যাডেট বিবেচিত হন এবং অসামান্য গৌরবমণ্ডিত ‘সোর্ড অব অনার' অর্জন করেন। এছাড়া কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার রিয়াদ হোসেন সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন এবং অফিসার ক্যাডেট হারসা নিমেসা তিলানহা হিথারচ্ছি বেস্ট ওভারসিজ ক্যাডেট
অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
পরে ক্যাডেটরা আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন এবং পিতা-মাতা ও অভিভাবকরা নবীন অফিসারদের র্যাংক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনৈতিকগণ, স্থানীয় অভ্যাগত অতিথিবৃন্দ, মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারগণের পিতা-মাতা ও অভিভাবকরা উপস্থিত থেকে এ বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন।
(ঢাকাটাইমস/০৪ডিসেম্বর/এমআর/ইএস)