শোকজের জবাব দিয়েছি, কমিটি সন্তুষ্ট কিনা পরে জানা যাবে: ব্যারিস্টার সুমন
নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির দেওয়া বিধি ভঙের শোকজের জবাব দিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় তিনি হবিগঞ্জ জজকোর্টে হবিগঞ্জ-৪ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পালের কাছে লিখিত জবাব দেন।
এরপর শোকজ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমি এর সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত না। আমার সেখানে কোনো প্রোগ্রামও ছিল না। আমি জবাবে এটাও বলেছি, যেহেতু আমি আইনের মানুষ, যাতে কোনো বিধি লঙ্ঘন না হয় সেভাবেই কাজ করি।
জবাবে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি সন্তুষ্ট হয়েছেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আমি আমার উত্তর দিয়েছি। কমিটির সন্তুষ্ট হয়েছেন কি না, তা পরে জানা যাবে।
এসময় তিনি অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, একটি রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও পুলিশকে না জানানোর জন্য আমাকে শোকজ করা হয়। আমার তো সেখানে কোনো অনুষ্ঠানই ছিল না যে পুলিশকে জানাবো। আমার যদি কোনো প্রচারের ব্যানার থাকত বা এখনো আগে থেকে প্রোগ্রাম করার কোনো লিফলেট থাকত, তাহলে তো পুলিশকে ইনফর্ম করার বিষয় থাকত। আমি আসলে ওইদিকে যাচ্ছিলাম।
ব্যারিস্টার সুমন গণমাধ্যমকর্মীদের আরও বলেন, একজন প্রার্থী হিসেবে আমার পরিচয় মাত্র দুই সপ্তাহের। এর আগেই তো একজন ফুটবলার হিসেবে বা ফেসবুকে জনপ্রিয় হিসেবে মনে করা হয়। ফেসবুকে আমার সাত মিলিয়ন ফলোয়ারস রয়েছে। আমি যেখানেই দাঁড়াই সেখানেই কিছু মানুষ এসে যায়।
এর আগে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে হবিগঞ্জ-৪ আসনের অনুসন্ধান কমিটি কার্যালয় থেকে হবিগঞ্জ সদর আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল এই নির্দেশ দেন। নির্দেশ মোতাবেক আজ ৭ ডিসেম্বর সুমন ব্যাখ্যা দিলেন।
(ঢাকাটাইমস/৭ডিসেম্বর/এআর)