হামাসের ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের খোঁজ পাওয়ার দাবি ইসরায়েলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৫১

গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ব্যবহৃত এ যাবত কালের সবচেয়ে বড় টানেলের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। রোববার কংক্রিট এবং লোহায় মোড়ানো টানেলটির ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বহিনী (আইডিএফ)।

সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, এরেজ সীমান্ত ক্রসিং থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে এ টানেলটির প্রবেশমুখ খুঁজে পাওয়া গেছে। এটির দৈর্ঘ্য চার কিলোমিটারের বেশি বা প্রায় আড়াই মাইল। গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা এই টানেলটি ব্যবহার করে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং হামলা চালায় বলেও দাবি আইডিএফ-এর।

ভিডিওতে আইডিএফ-এর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি বলেন, নতুন যে টানেলটি খুঁজে পেয়েছে সেটি মাটির ৫০ মিটার গভীরে অবস্থিত এবং এটির উচ্চতা ও প্রস্থ ৩ মিটার। টানেলটিতে বিদ্যুৎ সুবিধাও রয়েছে।

তিনি আরও দাবি করেন, এই টানেলটি বানাতে বহু বছর সময় লেগেছে এবং কয়েক লাখ ডলার ব্যয় করা হয়েছে। এর ভেতর দিয়ে অনায়াসে গাড়ি চালানো যাবে।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই ও সশস্ত্র কর্মকাণ্ড পরিচালনায় হামাসের অন্যতম হাতিয়ার মাটির নিচে থাকা এই টানেলগুলো, যা গাজা উপত্যকার কয়েকশ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত। একদিকে হামাস যোদ্ধাদের লুকানোর জন্য নিরাপদ স্থান অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালাতেও টানেলগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া ইসরায়েলের দাবি হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদেরও এই টানেলগুলোর মধ্যেই আটকে রাখা হয়েছে। ফলে গাজায় ইসরায়েলের চলমান অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য হামাসের আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলগুলো ধ্বংস করা।

এরআগে সাগরের পানি ভরে হামাসের টানেলগুলো ধ্বংস করার পরিকল্পনা করে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সুড়ঙ্গগুলোতে সাগরের পানি ঢোকানো শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ একাধিক মার্কিন গণমাধ্যম।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গাজার আল-শাতি শরণার্থীশিবির থেকে এক মাইল দূরে অন্তত পাঁচটি পাম্প বসিয়েছে ইসরায়েল। এসব পাম্প দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় কয়েক হাজারো ঘনমিটার পানি উত্তোলন সম্ভব। এতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাম্প ব্যবহার করে সাগরের পানি টেনে এনে গাজায় টানেলগুলোয় ফেলা হবে।

টানেলে পানি ভরার এই সম্ভাব্য পরিকল্পনার বিষয়ে ইসরায়েল গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমবার জানায় বলেও উল্লেখ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

এদিকে ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, সমুদ্রের পানি সুরঙ্গে প্রবেশ করানো হলে তা গাজা উপত্যকার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহকে বিপন্ন করবে। এর ফলে গাজার বাসিন্দাদের বিভিন্ন রোগে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮ডিসেম্বর/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :