হলুদে ছেয়ে আছে দামুড়হুদার মাঠ, বাম্পার ফলনের আশা সরিষা চাষিদের
ফাগুন আসার আগে পৌষেই বসন্তের ছোঁয়া অনুভব করছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদাবাসী। সরিষা ফুলের হলুদ রঙে ছেয়ে থাকা বিস্তীর্ণ মাঠ আর মৌমাছির গুঞ্জনে এ অনুভব করছে দামুড়হুদাবাসী। সকালে সরিষা ফুলের উপর পড়া শিশির কণায় সূর্যের কিরণ সৌন্দর্য বাড়িয়েছে দ্বিগুণ। চারদিকে শুধু হলুদের সমাহার। এ যেন হলুদ চাদর মোড়ানো রূপকথার রাজকুমারী।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে সরিষা ফুল এভাবেই সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছে স্থানীয়দের মাঝে। মাঠের এ ছবি চোখে মুখে হাসি ফোটাচ্ছে সরিষা চাষিদের। বাম্পার ফলনের সঙ্গে বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন তারা।
তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় গত বছরের চাইতে এবার সরিষার আবাদ কিছুটা কম হয়েছে বলে জানিয়েছে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তাদের তথ্য মতে,চলতি মৌসুমে উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ৩১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ৬০ হেক্টর জমির ক্ষেতে সরিষার আবাদ কম হয়েছে।
এবছর কৃষকরা বারি ১৪, ১৫, ১৭ ও ১৮ আর বিনা-৯ ও ৪ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই সরিষার হলুদ ফুলগুলো থেকে দানা বাঁধা শুরু হবে।
উপজেলার সরিষা চাষিরা জানান, চলতি মৌসুমে সরিষার আবাদ মোটামুটি ভালো হয়েছে। সরিষা চাষে খরচ কিছুটা কম লাভও বেশি হয়। এ বছর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছি।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, আবাদের সময় আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা কম আবাদ হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে সরিষার আশানুরূপ ফলন পাবেনি বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/পিএস)