বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বতন্ত্রধারা

ফকির ইলিয়াস
| আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:০৪ | প্রকাশিত : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:০১

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ১৯৭০-এর নির্বাচন ছিল একটি টার্নিং পয়েন্ট। সেই নির্বাচনেই বাঙালির ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। কিন্তু বাঙালীরা ক্ষমতায় যেতে পারেননি। যেতে দেওয়া হয়নি। ঐ নির্বাচনে বাংলাদেশে মূলত একটি দলই ছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাকি যারা ছিলেন তাদের বিশেষ কোনো শক্তি ছিল না।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর জন্ম হয়েছিল বিজয়ের পরপরই। যারা এটা করেছিলেন তাদের মতপার্থক্য ছিল সেই সময়ের মুজিবনগর সরকারের সাথে। সেই রোষ তারা মিটিয়েছিলেন জাসদের জন্ম দিয়ে। কিন্তু জাসদের সাথে এসে মিশে গিয়েছিল সেই পরাজিত রাজাকার শক্তির একটি প্রজন্ম! এরা মূলত হয়ে উঠেছিল বঙ্গবন্ধুবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী। এভাবেই বাংলায় নেমে আসে ১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্টের কালরাত। তারপরই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বাংলাদেশের সুস্থ রাজনৈতিক ধারা। অনেক রক্তপাতের পর 'হাঁ-না' ভোট দেখতে হয় বাঙালি জাতিকে। এর পরের ধারাবাহিকতা ১৯৯০ পর্যন্ত একই। যে বিষয়টি বাংলাদেশে বিষফোঁড়ার মতো গজিয়ে বড়ো হয়ে ওঠে- তা হলো মুক্তিযুদ্ধবিরোধী একটি রাজনৈতিক শক্তি। পরাজিত সেই জামায়াতও এসে ওই মোর্চায় যুক্ত হয়। বাংলাদেশে আলবদর মন্ত্রীর গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়ে! একটি বলয় ভেঙে বাংলাদেশে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। তাঁর হাতেই এগিয়ে চলে আওয়ামী লীগ। দলটি ১৯৯৬-এ ক্ষমতায় আসে। এরপরে ২০০৮-এর নির্বাচনে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্টতা পেয়ে বর্তমান পর্যন্ত ক্ষমতায় আছে।

২০২৪-এর নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত মোর্চা অংশ নিচ্ছে না। এরই বিকল্পধারা নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে 'স্বতন্ত্র' ইলেকশন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে চান তারা যেন বাধগ্রস্থ না হন। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও উৎসবমূখর করার নির্দেশনা দেন। এজন্য তিনি যা করতে বলেন তা হলো- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা বিনা ভোটে কেউ পাশ করতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ডামি প্রার্থী রাখতে হবে। স্বতন্ত্র এবং বিদ্রোহী প্রার্থীদের সহযোগিতা করতে হবে। তাদের উৎসাহিত করতে হবে। আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী হতে কোনো বাধা নেই। অন্য দলের প্রার্থীদেরও সহযোগিতা ও উৎসাহ দিতে হবে।

বাংলাদেশে এই স্বতন্ত্র ধারাটির দরকার ছিল বলেই আমি মনে করি। কারণ বাংলাদেশে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক দল তৈরি হয়নি। করা সম্ভব হয়নি। কে যায়নি সেই প্রশ্ন নিয়ে দীর্ঘ কথা বলা যেতে পারে। অথচ এই দেশটি তো সেই একাত্তরের চেতনায় স্বাধীন হয়েছিল। আমরা জানি মহান মুক্তিযুদ্ধে, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশায় কোনো কৃত্রিমতা ছিল না। তারা রক্ত দিয়েই একটি মানচিত্র পাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলেন। তাই প্রাণের বলিদান, আত্মাহুতি কোনো মুখ্য বিষয় ছিল না। সে সময় রাজনীতিকরাও স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন একটি স্বাধীন ভূমির। একটি বলিয়ান জাতিসত্তার। মানুষ রাজনীতিকদের কথায় আস্থা রেখেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যুদ্ধে। সে যুদ্ধে তারা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। এরপরের দায়িত্বটুকু ছিল জনগণ-রাজনীতিকের সমন্বয় সাধনের। যে কাজটি দ্রুত করার সুযোগ পাননি স্বাধীনতা-পরবর্তী রাষ্ট্র শাসকরা। করতে পারলে তাৎক্ষণিক বহুধা বিভক্তির জন্ম হতো না। মানুষও বিভ্রান্ত হতো না। একটি স্থিতিশীলতার পথ দেখত জাতি।

রাষ্ট্রের অবকাঠামো নির্মাণে, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা সবসময়ই জরুরি ভূমিকা রাখে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে পরিকল্পনায় ছিলেন ব্যাপক উদার। তার উদারতা তাৎক্ষণিক মহানুভবতার পরিচয় দিলেও পরাজিত পক্ষ সেটা দেখেছিল দুর্বলতা হিসেবে। যার ফলে এখনো তারা বলে কিংবা বলার সাহস দেখায়, শেখ মুজিব ঘাতক-দালালদের সাধারণ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন! বঙ্গবন্ধু তেমন কোনো ‘ক্ষমা’ ঘোষণা করেননি। বরং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছিলেন। বিভিন্ন ব্যক্তিগত খাতিরের সুযোগ নিয়ে, সামাজিক মুচলেকা দিয়ে তারা পার পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কেউ কেউ পলায়ন করেছিল পাকিস্তানে। পলাতক মাহমুদ আলী পাকিস্তানে মারা গেলেও, গোলাম আযমরা ফিরে এসেছিল পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে এবং পাখনা মেলেছিল সদলবলে।

পঁচাত্তরের নির্মম হত্যাযজ্ঞের পর যারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার নেশায় মত্ত ছিল তাদের লক্ষ্য ছিল ভিন্ন। দেশের মঙ্গল সাধনের চেয়ে, দেশ থেকে মুজিব এবং তার স্বপ্নের নামাবলি মুছে দেওয়ার প্রধান ইজারা নিয়েছিল তারা। দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানোর চেয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ লুটপাটকে বেছে নিয়েছিল তারা টিকে থাকার সিঁড়ি হিসেবে। প্রয়োজনীয় গণউন্নয়ন খাতের বাজেটকে সংকুচিত করে তারা মনগড়া অনুন্নয়নশীল খাতে বরাদ্দ করেছিল বেশি রাষ্ট্রীয় অর্থ। সবচেয়ে বেশি অমনোযোগী ছিল শিক্ষা খাতের প্রতি। ভয় ছিল, মানুষ সুশিক্ষিত হয়ে গেলে লুটপাটের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারে। একটি জাতি ও রাষ্ট্র গঠনে যে প্রত্যয়টির প্রধানত প্রয়োজন ছিল তা হচ্ছে দেশ গঠনে আন্তরিকতা। সেদিকে না এগিয়ে একটি মহল বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতার স্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়ে ছিল মরিয়া। শেখ মুজিবকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বিভিন্ন নেতা স্পষ্ট বলেছিলেন, কাল সাপেরা ছোবল দিতে পারে। হ্যাঁ, সেটাই হয়েছিল।

বন্দুকধারীদের সঙ্গে খুব সহজেই যোগ দিয়েছিল পরাজিত রাজাকার চক্র। তাদের মধ্য থেকে শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার মাধ্যমে রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বেশ জোরেশোরে। এ সময়ে দুটি চেষ্টা ছিল প্রকট। একটি হচ্ছে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে পলিটিশিয়ানদের জন্য পলিটিক্সকে ডিফিকাল্ট করা। আর অন্যটি হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামক দলটিকে ক্রমেই নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। এ দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, অতএব এদেরই নিপাত কর। এমন একটি নেপথ্য চিন্তায় ইন্ধন জুগিয়েছিল পরাজিত ঘাতক আলবদর-রাজাকার চক্র। পাক তমদ্দুনকে কাজে লাগানোর চেষ্টা ছিল ব্যাপক। একটি রাষ্ট্রের বশ্যতা স্বীকার করে সে রাষ্ট্রের মানুষের জন্য পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করার মানসিকতা বাংলাদেশে পরাজিত চক্রের শুরুতেই ছিল না। তারা খামোশ হয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ছিল ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত। এরপরই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছিল যথার্থই।

২০০৮-এর পূর্ববর্তী সময়ে, বাংলাদেশের উন্নয়ন না হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে, জনগণের প্রতি রাজনীতিকদের আনুগত্য না থাকা। দায়বদ্ধতার অভাব এবং জনগণের সম্পত্তিহরণ করে নেওয়ার মানসিকতা। স্বৈরশাসক এরশাদ সে কাজে নতুন মাত্রা যুক্ত করে, মস্তানদের লেলিয়ে দেন প্রতিপক্ষ রাজনীতিকদের ওপর। ফলে দেশের ভেতরে ‘পলিটিক্যাল ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’রা প্রবল শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এরা মন্ত্রিত্ব পর্যন্ত পায়। তাদের বাসা থেকে ধৃত হয় গালকাটা কামালের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। রাষ্ট্রপক্ষ, জনগণের ওপর এমন দানব লেলিয়ে দেওয়ার ঘটনাগুলো বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিষিয়ে তোলে।

এরশাদের পতনের পর তারা নতুন আঙ্গিকে প্রধান দুদল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ওপর ভর করে। তারা শুরু করে নতুন নতুন অপচেষ্টা। এই যে দুই প্রধান দলের ভেতরের লুটেরা শ্রেণি, তারা যে এরশাদের সৃষ্টি তা খুঁজে দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। এদের দেখাদেখি প্রধান দুই দলে আরো কিছু নেতা এ পথ অনুসরণ করেছে ’৯০-এর গণআন্দোলনের পরে।

প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার পর দেশে ডানপন্থী মোর্চাটি বেপরোয়া হয়ে উঠতে থাকে। সেই যে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা’ সেটাও কিন্তু রাজনীতিকদের পারস্পরিক অবিশ্বাসের ফসল। রাজনীতিকদের যে ন্যূনতম দায়বদ্ধতা জনগণের প্রতি নেই তার প্রমাণও এই তত্ত্বাবধায়ক প্রথাটি। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে এত চমৎকার গণতান্ত্রিক সৌহার্দ্য থাকার পরও বাংলাদেশ তা অনুসরণ করতে পারেনি; এটা চরম বেদনাদায়ক এবং লজ্জাজনকও বটে।

বিএনপির ব্যর্থতার কারণে ’৯৬-এর নির্বাচনে জিতে আসে আওয়ামী লীগ। কিন্তু এ সময়ে আওয়ামী নেতারা আরো দাম্ভিক, অহমিকাপূর্ণ আচরণ শুরু করেন গণমানুষের প্রতি। দুর্নীতিতে তারাও সমান পারদর্শিতা দেখান। মানুষ দাঁড়ানোর পথ খুঁজে না পেয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনে আবার বিএনপি জোটের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়। যদিও বলা হয়ে থাকে সেখানে বড়ো রকমের চক্রান্ত ছিল! সেই সঙ্গে মন্ত্রিত্ব পায় একাত্তরের আলবদর বাহিনীর দুই খুনি ও তাদের প্রেতাত্মা।

দেশে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ লালনে স্বীকৃত রাজনীতিকদের কী ভূমিকা ছিল তা আজো অজ্ঞাত। শায়খ রহমান কিংবা বাংলাভাই কখনই দেশে প্রধান কোনো নায়ক ছিল না। প্রধান নায়করা নেপথ্যে ছিল এবং এখনো আছে। ত্রিশ লাখ শহিদের রক্তের মূল্য যারা এখনো স্বীকার করতে চায় না, তারা অন্যভাবে ক্ষমতার মসনদ চায়। আর তা হচ্ছে জঙ্গিবাদ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জরিপ, সমীক্ষার মতে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের উর্বর ভূমি হতে চলেছিল সে সময়। সে কথা আমরা এর প্রায় এক দশক আগে থেকেই শুনে আসছিলাম। যা রাষ্ট্রের জন্য, মানুষের জন্য ভয়ানক শঙ্কার কারণ ছিল।

কিন্তু গেল পনেরো বছরে আমরা দেখেছি, পাকিস্তানের জঙ্গি মানসিকতা আর বিএনপি জামায়াতের মূর্খতার রাজনীতি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক ফসল ও চেতনাকে ম্লান করতে পারেনি। কারণ এই শানিত প্রজন্ম যে রক্তঢেউ বহন করছে তা মুক্তিপাগল একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধার। মানুষকে ভাবতে হবে। একাত্তরে যে জাতি বিজয়ী হয়েছিল- তারা ২০২৪-এ এসে পরাজিত হতে পারে না নৈতিকতার কাছে। ক্ষুদ্রস্বার্থ নয়, দেশপ্রেমের আলো চাই আজ বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে। এই আলো ধারণ করেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ইলেকশন করছেন। তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। তাদের ভোট কাস্টিং-এর সুযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশে আগামীতে কারা বিরোধী দলে বসবেন- এই প্রশ্ন ইতোমধ্যে বিদেশিরা করতে শুরু করেছে। সংরক্ষিত চারটিসহ মোট ২৬টি আসন নিয়ে বর্তমান সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসছে জাপা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিপরীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন থাকায় স্বাভাবিক নিয়মেই জাপা প্রধান বিরোধী দল হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাপা কতটি আসন পাবে, কিংবা কতটি আসনে জয়ী হতে পারবে- তা নিয়ে খোদ জাপার ভেতরেই নানা কথা চাউর রয়েছে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার গঠন করতে হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকতে হবে, এটা সংবিধানে বলা আছে। যে দল রাষ্ট্রপতির কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে প্রতীয়মান হবে, সেই দলের নেতাকে উনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন। আর সংবিধানে অনাস্থা ভোটের বিষয়ে বলা হয়েছে। এর বাইরে আর কিছু বলা নেই। তবে, প্রথা বা রেওয়াজ হচ্ছে-সরকারি দলের পর যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেই দলই বিরোধী দল হবে এবং সেই দলের নেতা বিরোধী দলের নেতা হবেন। সেখানে তাদের কতটি আসন থাকতে হবে, এরকম কোনো বিষয় নেই। বাংলাদেশে স্বতন্ত্রধারা নিয়ে যারা নির্বাচন করছেন- এরা মুক্তিযুদ্ধের আলোকিত প্রজন্মের পক্ষে। আপাতত এটাই আশার কথা। আর যে আমেরিকা বাংলাদেশের ইলেকশন নিয়ে লম্বা কথা বলছে- সেই দেশেই তো ৪৫% ভোট কাস্ট হয় গড়ে! তাহলে কোন দল অংশ নিলো, আর কে ভোট দিল কী দিল না- তা নিয়ে তাদের এত মাথাব্যথা হবে কেন! মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসুক। যার যার মতো ভোট প্রদান করুক। জাতীয় সংসদে গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব থাক- দেশের মানুষ সেটাই চাইছে।

ফকির ইলিয়াস: কবি, কলাম লেখক ও সাংবাদিক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :