মোকামতলায় গণশৌচাগারের অভাবে মানুষের দুর্ভোগ 

ওয়াসীম আহম্মেদ, শিবগঞ্জ (বগুড়া)
  প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪১| আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৮
অ- অ+

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলা বর্তমানে ব্যস্ততম বন্দরে পরিণত হয়েছে। বগুড়া-রংপুর মহাসড়কঘেঁষা এই বন্দরে গণশৌচাগার না থাকায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন।

এদিকে ইউনিয়ন পরিষদে আসা সেবাগ্রহীতারাও প্রতিদিন এখানে নানা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে কেউ আশপাশের অন্যের বাড়িতে যাচ্ছেন, কেউবা আবার কোথাও যাওয়ার জায়গা না পেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আশপাশের অলিগলিতে মলমূত্র ত্যাগ করছেন।

ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা হরিপুর গ্রামের গাজী আকন্দ বলেন, আমার মেয়ের জন্ম নিবন্ধন করতে এসেছি ইউনিয়ন পরিষদে। সার্ভার ব্যস্ত থাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। এর মাঝে মল ত্যাগের প্রয়োজন হলে পরিষদ প্রাঙ্গণে কোনো শৌচাগার না থাকায় আমার আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যাই। ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন সেবা নিতে এসে প্রায়ই আমাদের এসব বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

পরিষদের পাশে স্কুল মাঠে প্রস্রাব করতে আসা রুবেল আহম্মেদ বলেন, আমার বাসা বালুয়াহাট। ঢাকায় চাকরি করি। কিছুক্ষণ পূর্বে বাস থেকে নেমেছি। এই বন্দরে কোনো শৌচাগার না থাকায় বেকায়দায় পড়ে স্কুল মাঠে এসেছি প্রয়োজন সারতে।

তিনি আরও বলেন, মোকামতলা একটি সুপ্রশস্ত সাজানো গোছানো ব্যবসায়িক এলাকা। এখানে প্রায় সকল ব্র্যান্ডের বাস কাউন্টার থাকায় প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করেন। এই বন্দরে কোনো শৌচাগার না থাকায় আমাদের মতো যাত্রীদের প্রতিনিয়তই বিপাকে পড়তে হয়। এখানে একটা শৌচাগার নির্মাণ করা হলে যাত্রীসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে আসা সাধারণ মানুষ ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতো।

কথা হয় পরিষদ মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি আলামিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি প্রায়ই পরিষদ মসজিদে নামাজ পড়তে আসি। কিন্তু এখানে গণশৌচাগার না থাকায় কষ্ট পেতে হয়। ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে ড্রেনের ওপর প্রস্রাব করার জায়গা থাকলেও নামাজের সময় এসে এখানে প্রস্রাব করলে টাকা দিতে হয়। মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে এদিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের জন্য শৌচাগার নির্মাণ করা গেলে অনেক ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতো।

মোকামতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব সবুজ বলেন, ইতোপূর্বে গণশৌচাগার নির্মাণের বিষয়ে মাসিক বৈঠকে আলোচনা করেছিলাম। উপজেলা চেয়ারম্যান এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেননি।

গণশৌচাগার স্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে আমি মোকামতলা গিয়ে জায়গা দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ছোট পোশাক তারাই পরবে, যাদের মানায়: সিদ্দিকের প্রাক্তন স্ত্রী মিম
ফরিদপুরে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি লিটন গ্রেপ্তার
নিজ স্বার্থে সীমান্তের ওপারে যোগাযোগ রাখবে বাংলাদেশ, কে কী বলল যায় আসে না: নিরাপত্তা উপদেষ্টা
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ফিফার অনুমতি পেলেন সামিত সোম
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা