পুলিশের সহযোগিতায় বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন শওকত

ঋণ পরিশোধ ও স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণ ব্যয় বহন করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছিলেন রাঙামাটির লংগদু উপজেলার শওকত হোসেন নামের এক যুবক।
শওকত রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ভাসান্যাদম ইউনিয়নের চাইল্যাতলী এলাকার বাসিন্দা। তিনি গত ১৪ জানুয়ারি রাতে নিজের ফেসবুক পেইজে অঙ্গীকারনামা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেন। তিনি তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনোরকম সহযোগিতা না পেয়ে দুঃখে কষ্টে দিন অতিবাহিত করার কারণে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছিলেন বলে পোস্টে উল্লেখ করেন।
এ ফেসবুক পোস্টটি লংগদু থানার ওসি মো. হারুনুর রশিদের নজরে আসলে তিনি বিষয়টি রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহীদকে অবগত করেন। পরে পুলিশ সুপার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা প্রদানের মাধ্যমে শওকতকে বেঁচে থাকার জন্য আশ্বস্ত করেন।
মঙ্গলবার সকালে লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ নগদ ৪০ হাজার টাকা শওকত হোসেন ও তার স্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
এ সময় ভাসান্যাদম ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের এমন মানবিক কর্মকাণ্ডে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শওকত বলেন, আমি ঋণের বোঝায় দিশেহারা হয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করি। আমার ফেসবুক পোস্ট দেখে ওসি স্যার আমাকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে আমাকে বুকে টেনে নিয়ে আমাকে নানা বিষয়ে বুঝান। আমি অঙ্গীকার করেছি আর জীবনে এমন সিদ্ধান্ত নেবো না।
শওকত লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ ও রাঙামাটি পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা জনগণের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তার ফেসবুক পোস্টটি আমার নজরে আসলে আমি আমার পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অবগত করি। তিনি আন্তরিক হয়ে আমার মাধ্যমে শওকত নগদ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/ ইএইচ)
মন্তব্য করুন