রংপুরের ৫ জেলায় বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুনের আবাদ

রেজাউল ইসলাম বাবু, রংপুর
 | প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৯

রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুর জেলায় এবার মশলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজ ও রসুনের চাষ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কৃষকেরা লাভবান হওয়ায় প্রতি মৌসুমে এসব মশলা জাতীয় ফসল চাষের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে এবার ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম নাগালের মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বিভাগের ৫ জেলায় এবার পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন। অপরদিকে রসুনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ৮৮০ মেট্রিক টন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় ৯ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। যা গতবারের চেয়ে ৫২১ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে রংপুরে ৩ হাজার ৫১০ হেক্টর, গাইবান্ধায় ১ হাজার ৫৬৯ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ২ হাজার ৫০৫ হেক্টর, লালমনিহাটে ৯২০ হেক্টর ও নীলফামারী জেলায় ৮৫১ হেক্টর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগে এই অঞ্চলের কৃষকেরা পেঁয়াজ চাষে অনেকটা বিমুখ ছিল। বাজারে দিন দিন পেঁয়াজের দাম বাড়ায় কৃষি কর্মকর্তারা পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় দিন দিন পেঁয়াজ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়ার পাশাপাশি জমির পরিমাণও বাড়তে থাকে।

রংপুর নগরীর বড়বাড়ি হিন্দুপাড়া গ্রামের পেঁয়াজ চাষি বিষ্ণু-ঝাঁ জানান, তিনি গত কয়েক বছর থেকে পেঁয়াজ চাষ করছেন। আগে তিনি ওই জমিতে অন্য ফসল করতেন। পেঁয়াজে লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তিনি এবার জমির পরিমাণ বাড়িয়েছেন।

নগরীর ভোলার পুকুর এলাকার আফজাল হোসেন জানান, তিনি গত ৮ বছর থেকে পেঁয়াজ চাষ করে আসছেন। প্রথমে তিনি শুরু করেছিলেন ৬ শতক জমিতে। এখন তিনি চারগুণ জমিতে পেঁয়াজ চাষ করছেন।

তিনি জানান, লাভের অঙ্ক বেশি হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ করবেন।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৭০- ৮০ থেকে টাকা ও দেশি রসুন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ দুই বছর আগে এই সময় পেঁয়াজ-রসুন অনেক কমদামে বিক্রি হতো বলে জানিয়েছেন রংপুর সিটি মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

অপরদিকে রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় গতবারের চেয়ে এবার ১১৮ হেক্টর বেশি জমিতে রসুনের আবাদ করা হচ্ছে। এবার মোট জমির পরিমাণ ৩ হাজার ৪৮৪ হেক্টর। এর মধ্যে রংপুরে ১ হাজার ২৭০, গাইবান্ধায় ৩২৬ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ৬১৫, লালমনিহাটে ৪৫৭ ও নীলফামারীতে ৮১৬ হেক্টর।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পোঁয়াজ ও রসুন চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল। এই কারণে পেঁয়াজ ও রসুনের চাষ বেড়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো বাড়বে বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/ ইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :