বিশ্বশান্তির প্রতিবন্ধকতা কোথায়?

ফকির ইলিয়াস
 | প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১১

সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মি. ফয়সাল বিন ফারহান আল সাউদ বলেছেন যে- তার সাম্রাজ্য ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে পারে যদি ফিলিস্তিনিদের জন্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদাসহ একটি ব্যাপক চুক্তিতে পৌঁছানো হয়। বিশ্ব দেখছে, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শিথিল হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না! দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের একটি প্যানেলকে যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, ‘আমরা একমত যে আঞ্চলিক শান্তির মধ্যে ইসরায়েলের শান্তি অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু এটি শুধুমাত্র ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের জন্য শান্তির মাধ্যমেই ঘটতে পারে।’

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে শুরু হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২০২৪ সালের বার্ষিক বৈঠক। এতে যোগ দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং বরেণ্য অর্থনীতিবিদ, নীতি নির্ধারক, গবেষকসহ আরও অনেকে। গতকাল সোমবার শুরু হওয়া এই সম্মেলনে চলবে ১৯শে জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত। এই সম্মেলন বিশ্বে বিদ্যমান সমস্যাগুলো কেবল নির্ণয়ই করবে না পাশাপাশি এসব সমস্যার সমাধানও দেবে এবারের সম্মেলন।

প্রিন্স ফয়সাল বলেন, একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি নিশ্চিত করা ছিল- এমনকিছু যার জন্য আমরা সত্যিই মার্কিন প্রশাসনের সাথে কাজ করছি। আর আজকের গাজার প্রেক্ষাপটে তা আরও প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মরক্কোর সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার পরে এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিকে পরিবর্তন করতে সক্ষম হওয়ার পরে সৌদি আরবের সাথে একটি স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি নিশ্চিত করা ইসরায়েলের জন্য একটি বড়ো পুরস্কার হবে।

আমরা জানি, সুন্নি মুসলিম রাজ্য সৌদী, আরব বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। রাষ্ট্রটি ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র স্থানগুলির আবাসস্থল, যা বিশ্বজুড়ে যথেষ্ট ধর্মীয় প্রভাব বিস্তার করে।

ইসরায়েল এবং গাজা শাসনকারী বিপ্লবী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে গত অক্টোবরে যুদ্ধের বিস্ফোরণের পর, সৌদি আরব ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে গাজায় আগ্রাসী আক্রমণ করেই যাচ্ছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনের গাজার উত্তরাঞ্চলে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সাংগঠনিক ‘কাঠামো ভেঙে’ দেওয়া হয়েছে দাবি করে গত দুই সপ্তাহ সেখানে হামলা শিথিল করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। তবে আবার সেখানে ব্যাপক ট্যাংক হামলা চালানো হয়েছে।

আরেকটি আক্রমণ বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। দুই দেশের সরকার প্রধানই ইয়েমেনে হামলার এই খবর নিশ্চিত করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে ইরান সমর্থিত হুথিদের হামলার জবাব হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

হুথিদের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে হুশিয়ার করে বলেছে, এই ‘নির্মম আগ্রাসনের’ জন্য তাদেরকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, রয়্যাল এয়ারফোর্সের যুদ্ধবিমানগুলো সামরিক স্থাপনায় ‘সুনির্দিষ্ট টার্গেট লক্ষ্য করে হামলা’ চালাতে সহায়তা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্তৃপক্ষ বলছে, যুদ্ধ জাহাজ থেকে ট্রমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে এবং মার্কিন জেট বিমান থেকে রাজধানী সানা, হুদায়দাহ এবং হুথিদের লোহিত সাগরের শক্ত ঘাটির বন্দরগুলোসহ মোট ১২টিরও বেশি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে।

সাইপ্রাসের আক্রোতিরি ঘাটি থেকে উড্ডয়ন করে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি আরএএফ টাইফুন জেট বিমান দুটি হুথি টার্গেট লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই যে হামলা, প্রতি-হামলা; তা কি বিশ্বশান্তির পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে না? এই ভাবনায় আরেকটু পেছনে ফিরে দেখা যেতে পারে। কয়েকমাস আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি নিবন্ধে বেশ কিছু দরকারি কথা বলেছেন। এসব কথার মধ্যে সবগুলোই যে সত্য, তা হয়তো বলা যাবে না। পড়া যাক তাঁর ভাষ্য। জো বাইডেন লিখেছেন- ‘আমরা কি ভøাদিমির পুতিনকে তাঁর আগ্রাসী ভূমিকার জন্য জবাবদিহি করব না? আমরা কি চাইব না যে, ইউক্রেনের মানুষ স্বাধীনভাবে বাঁচুক? আর ইউরোপ নোঙর হয়েই থাকুক বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার? আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, আমরা কি একটা ইতিবাচক ভবিষ্যতের জন্য অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাব না? নাকি যারা আমাদের মূল্যবোধে বিশ্বাসী নয়, তাদের হাতেই আমাদের ভবিষ্যৎ ছেড়ে দেব? আমরা কি চাইব যে, তারা টেনেহিঁচড়ে পৃথিবীকে আরও বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাক? আরও বিভক্তি তৈরি করুক?

পুতিন ও হামাস প্রতিবেশী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে যুদ্ধে জড়িয়েছে। পুতিন ও হামাসের আশা- বৃহত্তর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও একত্রকরণের চেষ্টাকে ধসিয়ে দেওয়া। তারা অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিতে চায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তো তা করতে দেবে না, দিতে পারে না। আমাদের নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এবং গোটা দুনিয়ার ভালোর জন্যই এই অবস্থান।

যুক্তরাষ্ট্র একা এসব কাজ করছে না। ৫০টিরও বেশি দেশ আমাদের সঙ্গে আছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি যেন ইউক্রেন নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। আমাদের অংশীদারেরা এই যুদ্ধের অর্থনৈতিক দায়ের বড়ো অংশ বহন করছে। আমরা আরও শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ ন্যাটো গঠন করেছি। আমাদের মিত্রদের শক্তিসামর্থ্য বাড়লে আদতে আমাদেরই নিরাপত্তা জোরদার হবে। একই সঙ্গে এ কথাও জোরালোভাবে বলতে চাই যে, রাশিয়ার আগ্রাসন রুখতে আমরা ন্যাটোর প্রতিটি ইঞ্চির সুরক্ষা দেব। এই যুদ্ধে এশিয়ায় আমাদের মিত্ররাও আমাদের সঙ্গে রয়েছে। তারাও ইউক্রেনকে সমর্থন দিচ্ছে এবং পুতিনের কাছ থেকে জবাবদিহি চাইছে। কারণ, তারা জানে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও ইউরোপের স্থিতিশীলতা একই সূত্রে গাঁথা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বশান্তির অন্যতম অন্তরায় হচ্ছে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট। এই যুদ্ধই বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে যুদ্ধের উত্তাপ ছড়িয়েছে সময়ে সময়ে। ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে লড়াই এখন যেরকম তীব্র হয়ে উঠেছে তা একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ বেশ আগেই। কেউই তা শুনেছে বলে মনে হচ্ছে না।

অতীত আমাদের জানাচ্ছে, উনিশ’শ বিশ থেকে ১৯৪০ দশকের মধ্যে ইউরোপ থেকে দলে দলে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে যেতে শুরু করে এবং তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ইউরোপে ইহুদি নিপীড়ন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভয়ংকর ইহুদি নিধনযজ্ঞের পর সেখান থেকে পালিয়ে এরা নতুন এক মাতৃভূমি তৈরির স্বপ্ন দেখছিল।

ফিলিস্তিনে তখন ইহুদি আর আরবদের মধ্যে সহিংসতা শুরু হলো, একই সঙ্গে সহিংসতা বাড়ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধেও। উনিশ’শ সাতচল্লিশ সালে জাতিসংঘে এক ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনকে দুই টুকরো করে দুটি পৃথক ইহুদি এবং আরব রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হলো। জেরুজালেম থাকবে একটি আন্তর্জাতিক নগরী হিসেবে। ইহুদি নেতারা এই প্রস্তাব মেনে নেন, কিন্তু আরব নেতারা প্রত্যাখ্যান করেন। জাতিসংঘের এই পরিকল্পনা কখনোই বাস্তবায়িত হয়নি।

ব্রিটিশরা এই সমস্যার কোনো সমাধান করতে ব্যর্থ হয়ে ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ছাড়ে। ইহুদি নেতারা এরপর ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেয়। বহু ফিলিস্তিনি এর প্রতিবাদ জানান এবং এরপর যুদ্ধ শুরু হয়; প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সৈন্যরাও যেখানে যায় যুদ্ধ করতে। হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে তখন হয় তাদের ঘরবাড়ি ফেলে পালাতে হয় অথবা চলে যেতে বাধ্য করা হয়। ফিলিস্তিনিরা এই ঘটনাকে 'আল নাকবা' বা 'মহা-বিপর্যয়' বলে থাকে। পরের বছর এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে যখন যুদ্ধ শেষ হলো, ততদিনে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের বেশিরভাগ অঞ্চল দখল করে নিয়েছে। জর্ডান দখল করেছিল একটি অঞ্চল, যেটি এখন পশ্চিম তীর বলে পরিচিত। আর মিশর দখল করেছিল গাজা। জেরুজালেম নগরী ভাগ হয়ে যায়, ইসরায়েলি বাহিনী দখল করে নগরীর পশ্চিম অংশ, আর জর্ডানের বাহিনী পূর্ব অংশ।

দু'পক্ষের মধ্যে যেহেতু কখনোই কোনো শান্তি চুক্তি হয়নি, তাই উভয় পক্ষই অপর পক্ষকে দোষারোপ করতে থাকে। দুই পক্ষের মধ্যে পরের দশকগুলোতে এরপর আরও বহু যুদ্ধ হয়েছে। সেই যুদ্ধ চলছে প্রায় প্রতিবছরই।

বিশ্বশান্তির জন্য মার্কিনিদের ভূমিকা কী? তা নিয়ে অনেক কথাই বলা যেতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, বিশ্বে শক্তির ভারসাম্যের বিরাজ করেছিল কয়েক দশক। মূলত সেজন্যই ১৯৪৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত একটা দীর্ঘ সময় বিশ্বে শান্তি বজায় ছিল। অবশ্য এ সময়ের মধ্যে ভিয়েতনাম যুদ্ধ হয়েছে, কোরিয়া যুদ্ধ হয়েছে কিন্তু পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণে স্থিতাবস্থা ছিল।

সে সময় দুই পক্ষের হাতেই পরমাণু অস্ত্র থাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন উভয় দেশই একে অপরের সঙ্গে আচার-ব্যবহারে সতর্ক থেকেছে। কারণ তাদের স্মরণে ছিল, যদি কোনো কারণে দুই পক্ষ পরমাণু যুদ্ধে লিপ্ত হয়, পরিণামে পরাজিত পৃথিবী শাসনের জন্য বেঁচে থাকবে না তাদের কেউই। দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৮৯ সালে বার্লিন দেয়ালের পতনের পর ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলে শক্তির ওই ভারসাম্য ক্ষুণ্নু হয়। যুক্তরাষ্ট্র যদিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার প্রভাববলয় আর সম্প্রসারণ করবে না, কিন্তু কার্যত রাশিয়ার পূর্বমুখী সীমান্তে এগোতেই থাকে ন্যাটো।

সংস্থাটি সার্বিয়ায় বোমাবর্ষণ করে ‘ঝিকে মেরে বউকে শেখানো’র মতো করে মস্কোকে শিক্ষা দেয়। ক্যাম্প বন্ডস্টিল নামক অবৈধ সেনাছাউনি বসায়, যাতে করে কসোভো মাঝেমধ্যে রাশিয়ার জন্য যন্ত্রণার কারণ হতে পারে। একই প্রক্রিয়ায় ন্যাটো জর্জিয়ার মতো সাবেক সোভিয়েত মৈত্রীকে লাগিয়ে দেয় রাশিয়ার পেছনে। এখন তো রাশিয়ার চারপাশেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৪ সালে ইউক্রেনে ময়দান রায়টের সময় যে মার্কিনপন্থি দলটি সক্রিয় ছিল, তাদের দ্বারা ইউক্রেনের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে যুক্তরাষ্ট্রের ধামাধরা সরকারকে বসানো হয় ক্ষমতায়।

বার্লিন দেয়ালের পতনের পর থেকে মার্কিনিরা মনে করা শুরু করে, তারাই পৃথিবীর একমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ। সিরিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্তান, জর্জিয়া, ভেনিজুয়েলা থেকে শুরু করে আরও বেশ কয়েকটি দেশে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তার অন্যতম কারণ বিশ্ব-পুলিশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা। ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র যখন সার্বিয়ায় অবৈধভাবে বোমাবর্ষণ করল, সেই দিনই বোঝা গেছে আন্তর্জাতিক আইনের কোনো তোয়াক্কাই করে না দেশটি। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পাঁয়তারা না করে দেশটি যে বিশ্বশক্তির একটা গুরুত্বপূর্ণ উৎস, সেই উৎসটাকে মানবকল্যাণে কাজে লাগানো।

বিশ্বে রাশিয়া আজ ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে খুব নগ্নভাবে। আর আমেরিকা এর মুখোমুখি হতে চাইছে না। কিন্তু এই রাহাজানির তলায় পিষ্ট হয়ে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ রক্ত দিচ্ছে- এর জন্য দায়ী কে? আমরা সাধারণ মানুষেরা শান্তি চাই। এর জন্যে আমাদেরই উচ্চকণ্ঠ হতে হবে। ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে হবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে। ‘রক্তপাত চাই না’- এই স্লোগান শুধু মুখে নয়, সর্বশক্তি দিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে, প্রজন্ম এই সংকট উত্তরণের পথ পাবে না।

ফকির ইলিয়াস: কবি, সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :