ঝিনাইদহে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ছয়ফুল ইসলাম (৪২) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মহাশ্মশান থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত ছয়ফুল ইসলাম হনিরণাকুণ্ডু উপজেলার তৈলটুপি গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দীনের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার আলচারা গ্রামের ইসলাম হোসেনের ছেলে মজনু হোসেন এবং একই থানার আস্তানগর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।স্থানীয় এবং হরিণাকুণ্ডু থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছয়ফুল ইসলাম। বেশ কিছুদিন খোঁজাখুঁজির পর তার ভাই নয়ফল হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি হারানো জিডি করেন। সেই সূত্র ধরেই মজনু এবং মনিরুল নামে দুজনকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয় এবং হরিণাকুণ্ডু থানা সূত্রে আরও জানা যায়, ছয়ফুল ইসলাম তার দুজন সহযোগী মজনু হোসেন ও মনিরুল ইসলাম এক সাথে চলাফেরা করতেন এবং বিভিন্ন প্রকার শ্রমিকের কাজ করতেন। গত ১৫ নভেম্বর তারা তিনজন এক সাথে টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য ছয়ফুল ইসলামকে একটি মহিলা ভাড়া করার জন্য দায়িত্ব দেয়। কিন্তু কোন মহিলাকে ভাড়ায় না পাওয়ায় কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার বদ্যনাথপুর গ্রামের কুমার নদীর পাড়ে ওই দিনই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রঞ্জু ইটভাটার পাশে অবস্থানকাল তিনজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মজনু ও মনিরুল রাগান্বিত হয়ে ছয়ফুল ইসলামকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলেই লাশ মাটি চাপা দিয়ে পুঁতে রাখে। গত ১ ডিসেম্বর ছয়ফুল ইসলামের ভাই নয়ফল ইসলাম হরিণাকুন্ডু থানায় তার ভাই হারানো সংক্রান্ত একটি নিখোঁজ জিডি করেন। উক্ত নিখোঁজ জিডির তদন্তের সূত্র ধরে হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ হত্যাকারী মজনু হোসেন ও মনিরুল ইসলামকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। তাদের স্বীকারোক্তি মতে এই লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যায়।
(ঢাকা টাইমস/২৫জানুয়ারি/প্রতিনিধি/এসএ)