আসলেই কি আ.লীগ নিষিদ্ধ হবে নাকি নিষিদ্ধের ধোঁয়া তুলে রাজনীতি হবে?

আসলেই কি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে নাকি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ধোঁয়া তুলে রাজনীতি হবে? ঠিক স্বাধীনতার পর থেকে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী টার্ম কার্ড দেখিয়ে আওয়ামী লীগ ৫৩ বছর যে রাজনীতি করেছে। নাহিদ ইসলাম ড. ইউনূস স্যারের পরে সবচেয়ে প্রভাবশালী উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি কি তার মেয়াদে আ.লীগ নিষিদ্ধের কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন? একবারের জন্যও কি শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত গঠনে জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ নিয়েছেন? আচ্ছা, বলা হচ্ছে গণমাধ্যমের এখনো কোন সংস্কার হয়নি। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় জনাব নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমের সংস্কারে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন? কারও নিশ্চয়ই না বোঝার নয় ক্ষমতার চেয়ারে থেকে নাহিদ ইসলাম যে কাজগুলো করতে পারতেন, এখন তিনি সেই কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু তিনি পারেননি তো উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমও কি পারবেন না? তারা কি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট লীগকে নিষিদ্ধের জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত গঠনে কোন জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ নিতে পারবেন? আর উপদেষ্টা পরিষদের সকলেই তো বৈষম্যবিরোধী বা বর্তমান এনসিপি মনোনীত (প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, ছাত্ররা আমাদের নিয়োগ কর্তা)।
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ নিক। আমরা দেখতে চাই, কোন উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় না। আর যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কোনো জাতীয় সংলাপ না ডাকে, তাহলে বুঝেই নিবো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আওয়াজ রেখে আওয়ামী লীগের মত চেতনা ব্যবসার রাজনীতি করতে চাচ্ছে কেউ কেউ। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রায় জনগণ ৫ আগস্ট দিয়ে দিয়েছে।
সুতরাং এখন গণহত্যার বিচারপূর্ব কিসের নিবন্ধন স্থগিত? দাবি একটাই, গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আর যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হয় এবং ভবিষ্যতে ফিরে আসে, তাহলে এর সম্পূর্ণ দায়ও আপনাদের নিতে হবে।
লেখক: রাজনীতিবিদ

মন্তব্য করুন