রাঙ্গাবালীর অধিকাংশ স্কুল-মাদরাসায় এখনো পৌঁছেনি নবম শ্রেণির পাঠ্যবই

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কোনো বিষয়েরই বই পায়নি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে ১২টি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির দুই হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষাক্রম অনুযায়ী উপজেলার ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর জন্য ১৩টি বিষয়ের ১৫ হাজার ৬০০ বইয়ের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে চাহিদা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে এ উপজেলার ১১টি মাদরাসার ৮৭০ জন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য ১৪টি বিষয়ের ১২ হাজার ১৮০টি বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়। চাহিদা অনুযায়ী মঙ্গলবার মাদরাসা পর্যায়ের বইগুলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছায়। কিন্তু স্কুল পর্যায়ের বই না আসায় মঙ্গলবার পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসায় নবম শ্রেণির বই সরবরাহ করা যায়নি।

তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে দেওয়া চাহিদা অনুযায়ী অন্যান্য শ্রেণির বই গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই সরবরাহ করায় বই উৎসবে সেসব বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন নেছার বলেন, ‘অন্যান্য এলাকায় সব বই পেয়েছে। অথচ এখনো আমাদের শিক্ষার্থীরা নবম শ্রেণির কোনো বই পায়নি। অষ্টম শ্রেণিতেও কিছু বই বাকি আছে বলে জানান তিনি। এতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

উপজেলার উত্তর কাজির হাওলা মোহসেনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল বারেক বলেন, অষ্টম ও নবম শ্রেণির কোনো বই আমরা পাইনি।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের একাডেমিক সুপারভাইজার অনাদি কুমার বাহাদুর বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি। ইতোমধ্যে মঙ্গলবার মাদরাসার নবম শ্রেণির সব বই এবং অষ্টম শ্রেণির বাকি পাঁচ বিষয়ের বই পেয়েছি। দু-একদিনের মধ্যে সেসব বই মাদরাসায় সরবরাহ করা হবে। এছাড়া স্কুলের নবম শ্রেণির বই দুই একদিনের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘রবিবার জেলার মিটিংয়েও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জেলা প্রশাসক স্যারও বিষয়টি অবগত। দুইদিনের মধ্যেই সব বই পৌঁছে যাবে।’

এ ব্যাপারে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বিতরণ নিয়ন্ত্রক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘রাঙ্গাবালী দুর্গম এলাকা হওয়ায় বইগুলো পাঠাতে সমস্যা হয়েছে। যেহেতু সব জায়গার বই ট্রাকে যায়। আর রাঙ্গাবালীতে সরাসরি ট্রাক যায় না। বই পাঠানো হচ্ছে লঞ্চে। এ কারণেই সমস্যাটি হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫জানুয়ারি /প্রতিনিধি/পিএস)