কষ্টিপাথরের মূর্তির জন্য দুই মাদরাসা ছাত্রকে মারধর, থানায় মামলা

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কষ্টিপাথরের মূর্তির জন্য ফেরদাউস ও সোয়াইব নামে দুই মাদরাসা ছাত্রকে মারপিট করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে পাঁচবিবি থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
আসামীরা হলেন- মোহাম্মদপুর গ্রামের মাসুদ রানা, ফটিক ও আতাউল।
শনিবার দুপুরে পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মাদরাসা ছাত্র ফেরদাউস ও সোয়াইবের কাছে কষ্টিপাথরের মূর্তি আছে ভেবে তাদেরকে বাড়ির পাশ থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেতে হাত মুখ বেঁধে মারপিট করে মূর্তি দাবি করেন অভিযুক্তরা। কিন্তু কষ্টিপাথরের মূর্তির বিষয়ে কিছু বলতে না পারায় তাদের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে পাথরের একটি মূর্তির কিছু ভাঙা অংশ ছিল। আর এই পাথরের মূর্তির বিষয়টি ফেরদাউস ও সোয়াইব জানতো। এক পর্যায়ে অভিযুক্তরাও পাথরের মূর্তির বিষয়টি জানতে পারেন। তারা ভেবেছিলেন কষ্টিপাথরের মূর্তি বাজারে বিক্রি করলে কোটি টাকা দাম পাওয়া যাবে। এই ধারণা থেকে গত বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে বাড়ির পাশ থেকে ফেরদাউস ও সোয়াইবকে তুলে নিয়ে মূর্তি দাবি করা হয়। পরবর্তীতে বুঝতে পারেন যে ওটা কষ্টিপাথরের মূর্তি নয়। তখন অভিযুক্তরা মাদরাসা ছাত্রদের মারপিট করে চাঁদা দাবি করেন।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে রবিউলের বাড়ি থেকে পাথরের মূর্তির কিছু ভাঙা অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন