সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে বাড়ল ৩০ টাকা

এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে ফের বেড়েছে মুরগী ও পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে রাজধানীতে এ সপ্তাহে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ। এছাড়া সব ধরনের মুরগিতেও বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। বাজারের অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। বিক্রেতারা দাবি করেন, বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ কম আসছে। এছাড়া বাজারে অন্য জাতের পেঁয়াজ ও ভারতীয় পেঁয়াজও নেই। তাই দাম বাড়ছে। এছাড়া পাইকারি বাজারে মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বাড়ায় এর প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা মুরগি বিক্রেতারা। অন্যদিকে সবজি নিয়ে সস্তির কথা জানালেও পেঁয়াজ ও মুরগীর দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত শুক্রবার যে পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, তা আজ ১২০ টাকা। যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ১০০ টাকায়, সেটা আজ ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে যে বয়লার মুররি ১৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, তা আজ ২০০ টাকা। এছাড়া হাইব্রিড সোনালি মুরগিও ২৮৫-৯০ থেকে বেড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ কম আসছে। এছাড়া বাজারে অন্য জাতের পেঁয়াজ ও ভারতীয় পেঁয়াজও নেই। তাই দাম বাড়ছে বলে ঢাকা টাইমসকে জানান কারওয়ান বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দুল মালেক। তবে এত চড়া দামে পেঁয়াজ কিনতে বিরক্ত ক্রেতারা। এদিন বাজারে আসা বেশির ভাগ ক্রেতাই পেঁয়াজ ও মুরগির বাড়তি দামে উষ্মা জানিয়েছেন।
শুক্রবার এই বাজারে কাঁচাবাজার কিনতে আসা রাশেদুল হাসান নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, হুটহাট পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণই খুঁজে পাই না। পেঁয়াজের সিজন চলে গেল, কিন্তু দাম কমলো না। অদ্ভুত একটা অবস্থা পার করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার কিছু হলেই আমদানি করে। কিন্তু কম দামে তো কিনতে পারি না। তাহলে এসব আমদানি মাল কোথায় যায়। এতে আমাদের লাভটাই বা কী?’
এদিকে আগের সপ্তাহের দরেই বিক্রি হতে দেখা যায় অন্যান্য সবজি। বেগুন বিক্রি হতে দেখা যায় প্রতি কেজি ৭০ টাকা, যা কিছু দিন আগে ৮০ থেকে ১০০ টাকা ছিল, সিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা। তবে বিঁচিযুক্ত সিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল সর্বনিম্ন ৮০ টাকা। ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
অন্যদিকে টমেটোর দাম কিছুটা কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, করোলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
এছাড়া গাজর প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৭০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা এবং পেঁয়াজের ফুল প্রতি আঁটি ২০ টাকা, ব্রুকলি প্রতি পিস ৪০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে কমেনি ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। যা দুই সপ্তাহ আগে আরও ১০-১৫ টাকা কম ছিল। একইভাবে কিছুটা বাড়তি দামে ব্রয়লার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
(ঢাকাটাইমস/৯ফেব্রুয়ারি/এলএম/কেএ)

মন্তব্য করুন