কঠোর নিরাপত্তায় পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বার্ষিক সালানা জলসা শুরু

পঞ্চগড় প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১২

পঞ্চগড়ে নজিরবিহীন নিরাপত্তায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের দুই দিনের বার্ষিক সালানা জলসা শুরু হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে আগে থেকে জলসার সময় প্রকাশ না করলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা শহরের আহমদ নগরে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সুউচ্চ প্রাচীর ঘেরার ভেতরে ৯৯তম এই জলসার কার্যক্রম শুরু করা হয়। বিগত কয়েক বছর জলসাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অভিজ্ঞতায় এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে পঞ্চগড়কে।

মঙ্গলবার দিনভর আহমদ নগরসহ জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জলসা কেন্দ্রের আম পাশের এলাকাসহ শহরের মাড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাইরেন বাজিয়ে শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি বহর বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে টহল দিচ্ছে। তিন দিন ধরে জেলা শহর যেন পুলিশের শহরে পরিণত হয়েছে। গাড়ি বহরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটট, পুলিশ, ্যাব, বিজিবি, এপিবিএন এর সদস্যদের দেখা গেছে। জেলার ২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুলিশসহ শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য অস্থায়ী ক্যপাম্প করা হয়েছে। এজন্য এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঁচ দিন পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অজ্ঞাত কারণে শৃঙ্খলাবাহিনীর নির্দিষ্ট কোনো সদস্য সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।

নিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মুখপাত্র আহমদ তবশীর চৌধুরী কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি। তবে তিনি বলেছেন, আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ধর্মকর্ম পালন করতে চাই। অতীতে আমাদের নামে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে দোকানপাট, বাড়িঘরে হামলা লুটপ্টাসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের একজনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বার্ষিক সালানা জলসা অনুষ্ঠান নিরাপদে করতে এবং কোন ধরনের সহিংসতা এড়াতে এবার ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন কেউ ঘটাতে না পারে এজন্য আমরা কাজ করছি।

কয়েক বছর ধরে এই সময়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জলসা বন্ধ তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত আন্দোলন নামে ইসলাম ধর্মীয় কয়েকটি সংগঠন। নিয়ে গত বছর ( থেকে মার্চ ২০২৩) খতমে নবুওয়াত সমর্থিত মুসুল্লিদের সাথে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ সাংবাদিকসহ ৫০ জনের বেশি মানুষ গুরুতর আহত হন। উভয় পক্ষের দুইজন নিহত হন। অনেক দোকানপাট, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় ৩১টি মামলায় সাত হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করা হয়। এবারও গত শুক্রবার ঢাকার বাইতুল মোকাররম মসজিদের সামনে বিক্ষোভ করে খতমে নবুওয়ত সমর্থিত নেতাকর্মীরা জলসা বন্ধের দাবিতে রোড মার্চের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :