বিপিএল: জাকের আলীর বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে কুমিল্লার লড়াইয়ের পুঁজি

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৮

জিতলেই নিশ্চিত হবে প্লে-অফ, হারলেও টিকে থাকবে আশা—এমন সমীকরণে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে ফরচুন বরিশালের। ইতোমধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটাররা রীতিমতো সংগ্রাম করেছে তাইজুল ও সাইফউদ্দিনদের বোলিংয়ের সামনে।

শেষ দিকে জাকের আলির ১৬ বলে ৩৮ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রানের পুঁজি গড়েছে কুমিল্লা। চলতি বিপিএলের চতুর্থ তথা শেষ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করতে বরিশালের লক্ষ্য ১৪১ রান।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ১৬ বলে ৩৮ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস খেলেন জাকের। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৪টি ছয়ের মার।

কুমিল্লার হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন সুনিল নারিন ও লিটন দাস। আগের ম্যাচে তারা ভালো শুরু এনে দিলেও আজ ব্যর্থ ছিলেন নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে। দলীয় ২৪ রানে সুনিল নারিনের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। ১৮ বলে ১৬ রান করা নারিন ওবেদ ম্যাককয়ের বলে শর্ট থার্ড ম্যানে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ২৪ রানেই ভাঙে কুমিল্লার ওপেনিং জুটি।

সুনিল নারিনের পর একে একে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। লিটনের মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকেও ফেরান তাইজুল। এই দুই ব্যাটারের বিদায়ে ৪০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কুমিল্লা।

৪০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মঈন আলি ও তাওহীদ হৃদয়। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে কুমিল্লা। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান ওবেদ ম্যাককয়। ওবেদ ম্যাককয়ের বলে আকিভ জাভেদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান ২৬ বলে ২৫ রান করা তাওহীদ হৃদয়। তার বিদায়ে ভাঙে ৩৬ রানের জুটি।

তাওহীদ হৃদয়ের বিদায়ের পর আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে জুটি গড়েন মঈন আলি। তবে বেশিদূর এগোনোর আগে মাত্র ১০ রানেই ভাঙে এই জুটি। দলীয় ৮৬ রানে আকিফ জাভেদের বলে মিড অফে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মঈন আলি। আউট হওয়ার আগে করেন ২২ বলে ২৩ রান।

মঈন আলির পথ ধরে একে একে সাজঘরে ফিরে যান আন্দ্রে রাসেল ও ম্যাথিউ ফর্ড। তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে ১১ বলে ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান আন্দ্রে রাসেল। আর ম্যাথিউ ফর্ডকে সাজঘরে পাঠান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এই দুই ব্যাটারের দ্রুত বিদায়ে ৯৭ রানেই ৭ উইকেট হারায় কুমিল্লা।

৯৭ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন জাকের আলি ও মোহাম্মদ এনামুল। তবে দলীয় ১২৪ রানে মোহাম্মদ এনামুলের বিদায়ে ২৭ রানে ভাঙে এই জুটি।

মোহাম্মদ এনামুলের বিদায়ের পর তানভীর ইসলামকে নিয়ে জুটি গড়েন জাকের আলি। নবম উইকেটে এই জুটির ৭ বলে ১৬ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তুলতে সক্ষম হয় কুমিল্লা। জাকের আলি ১৬ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :