বস্ত্রখাতে সম্মাননা পাচ্ছে ১১ সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৩
অ- অ+

বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং গৌরবময় উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বস্ত্রখাত দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

তিনি জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বাড়াতে ভূমিকা রাখায় ১১টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়ার ঘোষণা দেন।

রবিবার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বস্ত্র ও পাট সচিব মো.আব্দুর রউফ বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নূরুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট টেক্সটাইলে সমৃদ্ধ দেশ-বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, বস্ত্রখাতের সক্ষমতাবৃদ্ধি, যুগোপযোগীকরণ ও বিনিয়োগে আকৃষ্টকরণ এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বর ‘জাতীয় বস্ত্র দিবসদেশব্যাপী উদ্যাপন করা হয়ে থাকে। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে বস্ত্রখাত থেকে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে উদ্যোক্তা শ্রেণীকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে যথোপযুক্ত নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি গ্রহণ, প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, উপযুক্ত ভৌত অবকাঠামো এবং অভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারণ নীতিমালা সংবলিত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে মর্মে অঙ্গীকার করা হয়েছে। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকার বস্ত্রখাতের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। এছাড়াও বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার মোতাবেক মিশন-ভিশন প্রস্তুত ও কার্যাবলী নির্ধারণ করা হয়েছে।

রারক আরও বলেন, দিবসটি উপলক্ষে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপাতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।

এ অনুষ্ঠানে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বাড়াতে ভূমিকা রাখায় ১১টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হবে।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ‘বস্ত্রখাত’ দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। সরকার বস্ত্রখাতের অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় করে এ খাতের উন্নয়নকে গতিশীল রাখার পাশাপাশি বস্ত্র অধিদপ্তর পোশাক কর্তৃপক্ষের সকল সেবা ওয়ানস্টপ সার্ভিস এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে প্রদান করছে। বস্ত্র শিল্পের উন্নয়ন ও বিকশিত করার নিবন্ধিত বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমানে তৈরি পোষাক শিল্পে উন্নতমানের ২০৬টি সবুজকারখানা নিয়ে গ্রিনফ্যাক্টরির নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।

এসময় সাম্প্রতিক ভারত সফরে তিস্তা ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিস্তা চুক্তির আগে দুই দেশের অনেক বড় বড় সমস্যাগুলো দুই সরকারের সদিচ্ছার কারণে, বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে বিষয়গুলো সমাধান হয়েছে। ভারত আমাদের প্রতিবেশি বন্ধুদেশ। ভারতের সাথে আমাদের বন্ধুত্বের সীমারেখা দেওয়া যাবে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব রক্তের অক্ষরে লেখা। ভারতের সঙ্গে যে সমস্যা রয়েছে আমরা মনে করি, সমগ্র ভারত এখন নির্বাচন উন্মুখ এবং নির্বাচনমুখী। আমি যে কথা বলতে চেয়েছি, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। ভারতের এ গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সবাইকেই আমি অপেক্ষার জন্য বলেছি। তিস্তা ইস্যু নিয়ে অনেক দূর আলোচনা এগিয়ে রয়েছে। এখন সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করছি আমার।

(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/জেএ/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ইসির ওয়েবসাইট থেকে সরানো হলো আ.লীগের ‘নৌকা প্রতীক’ 
দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীম
গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
সিলেবাস সংস্কারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিসেফের সমঝোতা চুক্তি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা