অপহরণের ৪ ঘণ্টা পর কিশোরী উদ্ধার, আটক ১

আটককৃত যুবক সাব্বির।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীকে অপহরণের ৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত এক যুবককে।

বৃহস্পতিবার বিকালে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণের শিকার হয় ওই ছাত্রী। এরপর রাত প্রায় ৮টার দিকে সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ছোট সুন্দর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

ওই কিশোরী গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের চর বাড়ির এক সিএনজি অটোরিক্সা চালকের মেয়ে। সে স্থানীয় জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সুমন ও শরীফ জানান, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের ধোপা বাড়ি ও মজুমদার বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক সিএনজি চালিত অটোরিকশা উঠিয়ে নিয়ে যায় সাব্বির (২৩) ও রনি (২১) নামের দুই যুবক।

অপহরণকারী ওই যুবকেরা চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তারা দুইজন গত এক বছর যাবত ওই এলাকায় পাকা সড়ক নির্মাণ কাজের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। তবে মেয়েটির সঙ্গে ওই দুই ছেলের একজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানান তারা।

ওই কিশোরীর সহপাঠী ও তার খালাতো বোন জানান, ‘বিদ্যালয় ছুটির পর আমরা দুইজন বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ করে হরিপুর-জগন্নাথপুর সড়কের মজুমদার বাড়ির সামনে গেলে সাব্বির ও রনি জোরপূর্বক ইশরাতকে সিএনজিতে তুলে নেয়। এ সময় আমিসহ সড়কের পাশের লোকজন চিৎকার দিলেও সিএনজি অটোরিকশাটি দ্রুত চলে যায়।

কিশোরীর মা জানান, ‘আমার স্বামীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায়। গেলো ৮ বছর ধরে আমি স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি গন্ধর্ব্যপুরে চলে আসি। তিনি আরো বলেন, মেয়েকে কখনও দেখিনি কারোর সঙ্গে কথা বলতে। আমি নিজেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করি না। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই।

এদিকে অপহরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খুরশীদ আলমসহ পুলিশ সদস্যরা। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় ইশরাত জাহানকে চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ছোট সুন্দর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশ মূল অভিযুক্ত সাব্বিরকে আটক করেছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দে জানান, ইশরাত জাহানকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত এলাকায় অন্য অভিযুক্তকে আটকের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৯ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)