বগুড়ায় প্রতিবেশী পুরুষের গোপনাঙ্গ কাটার অভিযোগ নারীর বিরুদ্ধে!

বগুড়ার ধুনটে শাহিন আলম (৫০) নামের এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক নারীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের শিয়ালী (বড়ইতলী) গ্রামে।
শুক্রবার এ ঘটনায় শাহীন আলমের শ্যালক রিপন মিয়া ধুনট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার শিকার শাহিন উপজেলার নিমগাছী গ্রামের বাসিন্দা।
রিপন মিয়া থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, রিপনের বাড়ির পাশেই তার বোনজামাই বসবাস করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই নারীও তাদের প্রতিবেশী। এই সুবাদে তার বোন-জামাইয়ের সাথে ওই নারীর সুসম্পর্ক ছিলো। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে গতকাল রাতে ওই নারীর হুকুমে মজনু মিয়া নামের আরেক প্রতিবেশী তার বোনজামাইকে ওই নারীর বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে ওই নারী এবং মজনুসহ আরও কয়েকজন মিলে তার বোনজামাই শাহিন আলমের পুরুষাঙ্গ কেটে নেন। আহত অবস্থায় সেখান থেকে পালিয়ে বাসায় গিয়ে তাদেরকে ঘটনা জানায়। পরে তিনি (রিপন) ঘটনাস্থলে গেলে ওই নারীর হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখতে পান।
অভিযোগে বলা হয়, ওই নারীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি নিজেই শাহিনের লিঙ্গ কর্তনের কথা স্বীকার করেন। পরে রিপন মিয়া তার বোনজামাইয়ের চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে তাকে ভর্তি করেন।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই এলাকায় বসবাস করায় ওই নারীর সঙ্গে শাহিন আলমের সুসম্পর্ক ছিলো। সম্প্রতি ওই নারী শাহিন আলমের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। পরে টাকা পরিশোধ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সেটা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা সালিশও হয়। এরপর থেকে ওই নারীর বাড়িতে শাহিন আলম নিয়মিত যাতায়াত করতেন। গতকাল রাতে শাহিন আলমের চিৎকারে তারা বাড়ির বাইরে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে পালাতে দেখেন।
শিয়ালী গ্রামের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুম মিয়া বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন। তাকে ওই নারীর পরিবার থেকে ফোন করে জানানো হয়েছে। তারা বলেছে, শাহীন আলম ওই নারীর সাথে জোরপূর্বক অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে গেলে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
মেম্বার মাসুম মিয়া বলেন, ‘অভিযোগ নিয়ে তারা (অভিযুক্ত নারী) থানায় মামলা করতে চান, সে জন্য তারা আমার কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। আমি তখন তাদের বলেছিলেন, মামলার বিষয়টি সম্পূর্ণ তোমাদের বিষয়। তোমাদেরকে আমি হ্যাঁ-ও বলবো না, না-ও বলবো না। তবে গ্রাম্য সালিশে যদি ১০ জন ব্যক্তি থাকে সেখানে সবার মতামত নিয়ে আমি একটি মত দিতে পারি!’
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, ‘এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। আমরা এলাকায় এখনো যেতে পারিনি। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত করতে পারিনি তাই ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনই আমরা মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। কেউ আটক নেই। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৪অক্টোবর/এসআইএস)

মন্তব্য করুন