অগ্নিকাণ্ডের পরদিন বেইলি রোডের রেস্তোরাঁ-শপিংমল ঘুরে যা দেখা গেল
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা বেইলি রোড। দিনভর মানুষের আনাগোনা কম বেশি থাকলেও সন্ধ্যার পর বেশ জমজমাট হয়ে ওঠে। বিশেষ করে রেস্তোরাঁগুলোতে থাকে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। বৃহস্পতিবার রাতে এমনই এক জমজমাট সময়ে বেইলি রোডের কোজি গ্রিণ কটেজ বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। এতে প্রাণ হারাতে হয়েছে ৪৬ জনকে।
এদিকে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে বেইলি রোড এলাকা। শুক্রবার সন্ধ্যার পর হাতেগোনা কয়েকটা দোকান বন্ধ থাকলেও অধিকাংশ দোকান ও বিল্ডিংই খোলা রাখতে দেখা যায়। আর এসব বিল্ডিংয়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার আগুন লাগা কোজিস গ্রীন কটেজের পাশেই গোল্ডপ্রেস নামের আরেকটি বিল্ডিংয়ের অবস্থান। এই বিল্ডিংয়ে পার্লারসহ ছোটবড় সাতটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সরেজমিনে বিল্ডিংটির পিজ্জা হাট, সিক্রেট রেসিপি, থারটি থ্রি, দোসা, বেকার স্টোরি রেস্টুরেন্টগুলো প্রতিদিনের মতো খোলা দেখা যায়। আর রেস্টুরেন্টগুলোতে কমবেশি কাস্টমারদের আনাগোনাও চোখে পড়ে।
পিজ্জা হাটের ম্যানেজার ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘মালিকপক্ষ চালু রেখেছে এজন্য দোকান খোলা রেখেছি। তবে দোকান খোলা রাখলেও ক্রেতা কম আসছে। দুয়েকদিন গেলে ঠিক হয়ে যাবে।’
বেকার স্টোরি দোকানের বিক্রেতা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বন্ধ করে কী হবে, যা হবার হয়ে গেছে। এখন বন্ধ করে লাভ নাই‘
বেইলি রোডের ফখরুদ্দিন বিরিয়ানির ওয়েটার ইমন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আজ সেল কম হচ্ছে। টুকটাক কিছু অনলাইনে অর্ডার পাচ্ছি। কিন্তু দোকানে সেভাবে কাস্টমার আসছে না।'
নবরুপ শাড়ী হাউজের বিক্রেতা মো. বিপ্লব জানান বলেন, ‘অন্যান্য দিনে ৮-১০ জন কাস্টমার পেলেও আজ দুজন পেয়েছি। এত বড় ঘটনা ঘটেছে আজ লোক আসবে না স্বাভাবিক। ক্রেতারা যারা আসছে তারা বলছে অনেক রিস্ক নিয়ে আসছি। আগুনের প্রভাব পড়েছে।’
গ্রিন কটেজের সামনে অবস্থিত নাভানা বেইলি স্টার নামের বহুতল একটি বিল্ডিং। ভবন মালিকের নির্দেশনা অনুযায়ী এ দিন বন্ধ রাখা হয়েছে পুরো বিল্ডিংয়ের সবগুলো দোকান। এই বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকার আলামিন এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘মালিকের নির্দেশে একদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বিল্ডিংয়ের দোকানপাট। আগামীকাল থেকে পুনরায় চালু করা হবে।’
বিল্ডিং ম্যানেজার ফারদীন ঢাকা টাইমসকে বলেন, 'এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। প্রতিবেশীদের সহমর্মিতার জন্য আজ আমরা বিল্ডিং বন্ধ রেখেছি।'
এদিন বেইলি রোডে চালু থাকা সবগুলো দোকানে অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার ঝুলিয়ে রাখতে দেখা যায়।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় কোজেস গ্রিন কটেজে সামনে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরা ব্যারিয়ার দিয়ে বিল্ডিংয়ের প্রবেশমুখ বন্ধ করে রেখেছে। বিল্ডিংয়ের সামনে বেইলি রোড ও আশেপাশের এলাকা থেকে আসা মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
(ঢাকাটাইমস/০১মার্চ/এলএম/কেএম)