অপরিপক্ব পেঁয়াজে বাজার সয়লাব, দাম অর্ধেকে নামায় বিপাকে চাষিরা

নুরুল ইসলাম, সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর)
  প্রকাশিত : ১১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৬
অ- অ+

ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দায় একদিনের ব্যবধানে হালি পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। রবিবার উভয় উপজেলার বাজারগুলোতে প্রতিমণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩২০০ থেকে ৩৮০০ টাকা করে।

সোমবার সেই পেঁয়াজ প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে মাত্র ১৬০০ থেকে ২২০০ টাকা করে। এতে বেশি দামের আশায় অপরিপক্ব পেঁয়াজ তুলে বাজারে এনে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।

সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সালথার আটঘর ইউনিয়নের জয়কাইল ও গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া হাটে ঘুরে দেখা যায়, বিপুল পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। যদিও এসব পেঁয়াজ বেশিরভাগ অপরিপক্ব। বেশি লাভের কৃষকরা ক্ষেত থেকে এসব পেঁয়াজ তুলে সরাসরি বাজারে নিয়ে এসেছেন। তবে বাজারে দাম পেয়ে মুখ মলিন করে বাড়িতে ফিরছেন তারা। কৃষকদের ধারণা, বাজারে অতিরিক্ত পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দাম কমিয়ে দিয়েছে।

জয়কাইল বাজারে ব্যবসায়ী মো. আমির হামজা ও মো. খোকন ব্যাপারী বলেন, রবিবার সালথা বাজারে প্রতিমণ পেঁয়াজ ক্রয় করেছি ৩২০০ থেকে ৩৮০০ টাকা করে। সোমবার ১৬০০ থেকে ২২০০ টাকা করে প্রতিমণ পেঁয়াজ ক্রয় করেছি। হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ীর লোকসান হবে। কারণ আমরা পেঁয়াজ কিনে এখনো সরবরাহ করতে পারিনি। যেসব পেঁয়াজ কিনেছি তা ঘরেও রাখা যাবে না। যে কারণে লাখ লাখ টাকা লোকসান হবে আমাদের।

সালথার বিভাগদী গ্রামের পেঁয়াজ চাষি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজারে দাম ভাল হওয়ায় আমি একবিঘা জমির পেঁয়াজ আগাম তুলেছি। সেখান থেকে ২০ মণ পেঁয়াজ বাজারে এনেছিলাম। কিন্তু বাজারে এসে দেখি পেঁয়াজের দাম অর্ধেক নেই। তাই আমি পেঁয়াজ বিক্রি না করে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তবে এসব পেঁয়াজ বেশিদিন ঘরেও রাখা যাবে না। এভাবে হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলাম।

বালিয়া হাটে পেঁয়াজ নিয়ে আসা হাফেজ মোল্যা বলেন, বাজারে আজকে অনেক পেঁয়াজ উঠেছে। যে কারণে দাম অর্ধেক কমে গেছে। আমি তিন মণ পেঁয়াজ এনেছিলাম। কী করব, বাধ্য হয়েই অর্ধেক দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে গেলাম। প্রতিমণ পেঁয়াজ মাত্র ১৬০০ টাকা করে বিক্রি করেছি। দাম যতই কম হক, বিক্রি করে বাজার-সদাই তো করা লাগবে। নইলে না খেয়ে থাকতে হবে।

সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে মসল জাতীয় ফসল পেঁয়াজের দাম বেপরোয়া ছিল। প্রতিমণ পেঁয়াজ ৩ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। যে কারণে পেঁয়াজ চাষে বিখ্যাত সালথা ও নগরকান্দা উপজেলার চাষিরা ক্ষেত থেকে অপরিপক্ব হালি পেঁয়াজ উত্তোলন করে বাজারে নিয়ে বিক্রি করা শুরু করেছিলেন। বর্তমান যেসব পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে তোলা হচ্ছে, আগামী ১৫ থেকে ২০ দিন পর এসব পেঁয়াজ তুললে পরিপক্ব ও শক্তিশালী হবে।

(ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মাহবুবুল হক নান্নু'র বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ, প্রতিবাদ জানাল মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক
শেখ মুজিবের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বহাল রেখে সংশোধিত খসড়া উঠছে উপদেষ্টা পরিষদে
ঘুষ কম দেওয়ায় সেবাগ্রহীতার মাথা ফাটালেন অফিস সহকারী
এস আলম গ্রুপের অপকর্মের সহযোগী সাবেক জামায়াত নেতা ফখরুলের বিএনপির মনোনয়ন বাসনা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা