টাঙ্গাইলে রিসোর্ট থেকে আ. লীগ নেতাসহ ১৪ জুয়াড়ি আটক

জুয়া, মাদক ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা রিসোর্ট। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার এলেঙ্গায় অবস্থিত এ রিসোর্টের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রশাসনের নাকের ডগায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে এসব অপকর্ম। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় এলেঙ্গা রিসোর্টের বিথিকা কটেজ থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ ১৪ জন জুযাড়িকে আটক করেছে পুলিশ। কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার সকালে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসাইন জানান, এলেঙ্গা রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর থেকে ১৪ জন জুয়াড়িকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। এসময় তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা, জুয়া খেলায় ব্যবহৃত বিভিন্ন রঙের বায়ানটি তাস, সাত প্যাকেট ইনটেক বিভিন্ন রঙের ডন ইউএসএ গোল্ড আলফা কার্ড, মেঝেতে বিছানো একটি সাদা রঙের চাঁদর ও ১৫ টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- কালিহাতীর গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য সুলতান মাহমুদ, এলেঙ্গা রিসোর্টের কর্মচারী ও সরাতৈল গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সাইফুল ইসলাম, ফজলু সরকার, রফিকুল ইসলাম, রুবেল মিয়া, জুলহাস মিয়া, লোকমান মিয়া, আলমগীর হোসেন, হাবিবুর রহমান, সুজন মিয়া, মনিরুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন। আটককৃত জুয়াড়িরা টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্নস্থানের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এলেঙ্গা রিসোর্টের ভেতরে নিয়মিত জুয়ার আসর ও অনৈতিক কাজের নিরাপদ আখড়ায় পরিণত হলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। এ কাজে রিসোর্টের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারি সরাসরি জড়িত।
এলেঙ্গা রিসোর্ট ব্যবস্থাপক ফখরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক বলেন, গোপান সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এলেঙ্গা রিসোর্টের বিথিকা কটেজে অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর থেকে ১৪ জন জুয়াড়িকে আটক করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে নিয়মিত মামলা দায়ের করে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, রিসোর্টে মাদক ও দেহ ব্যবসার সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকা টাইমস/১৫মার্চ/প্রতিনিধি/এসএ)

মন্তব্য করুন