টাঙ্গাইলে গৃহবধূকে মারধর করা সেই ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিচারপ্রার্থী প্রতিবেশী গৃহবধূকে মারধর করা ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম মুক্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তিনি উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের সখীপুর-নাগরপুর আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে ওই আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন করিম জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে মুক্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
টাঙ্গাইল কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. তানভীর আহম্মেদ বলেন, সখীপুরের বহুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গৃহবধূকে মারধরের মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ বিকালে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গৃহবধূকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী তার সন্তানের বিচার চাইতে প্রতিবেশী চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার কাছে যায়। এ সময় ওই নারী উত্তেজিত হয়ে কথা বলায় রুবেল নামে প্রতিবেশী এক যুবক ওই নারীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করে। এরপর রুবেল প্রথমে মারধর করে। এরপর চেয়ারম্যানও তাকে মারধর করেন।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন ওই নারী। একই এলাকায় বসবাস করেন উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তাও। দুজনের মেয়েই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সম্প্রতি চেয়ারম্যানের মেয়ে ও ওই নারীর মেয়ের মধ্যে ‘তুচ্ছ একটি ঘটনাকে’ কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই নারীর মেয়েকে গালিগালাজ করেন। চেয়ারম্যানের কাছে এর বিচার চাইতে গেলে মারধরের শিকার হন তিনি।
(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন