সরবরাহ বেশি, ক্রেতা কম
কেজি দরের পরিবর্তে পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ

কয়েক দিন আগেও যে তরমুজ ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেই তরমুজ এখন বিক্রি হচ্ছে পিস হিসেবে। তাও আবার প্রতি পিস তরমুজ মাত্র ৯০-১০০ টাকা। তবুও পাওয়া যাচ্ছে না ক্রেতা। বিক্রেতারা গলা ফাটিয়ে হাঁক-ডাক করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। তবে কিছু ক্রেতাকে কম দামে তরমুজ কিনতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। বাজারে তরমুজের সরবরাহ বাড়ায় এবং ক্রেতা খরা থাকায় এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে বলে বিক্রেতাদের কাছ থেকে জানা গেছে।
শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তরমুজ বিক্রির এমন দৃশ্য দেখা গেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার শিয়ালকোল ও মাটিকাটা হাটে। তরমুজ দাম নাগালের মধ্যে থাকায় কিছু ক্রেতাকে ভিড় করতেও দেখা গেছে। তবে কয়েকটি ফলের দোকানে এখনও আকার ভেদে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে তরমুজ।
সরেজমিন দেখা যায়, বিক্রেতারা তরমুজের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ‘মাত্র ১০০ টাকা পিস’ এমন ডাকে মুখরিত রয়েছে হাট এলাকা। দাম কম হওয়ায় একাধিক তরমুজ নিয়েছেন হাটে আসা ক্রেতাদের অনেকে।
তরমুজ বিক্রেতা কাদের আলী ও জাহিদ হাসান বলেন, মোকামে তরমুজের দাম খুবই কম। তাই আমরাও কমে বিক্রি করতেছি। কয়েক দিন আগেও কেজি দরে বিক্রি করলেও এখন পিস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে।
বিক্রেতারা আরও জানান, গত কয়েক দিন যাবৎ বৃষ্টির কারণে খেতে তরমুজ পচে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। যার ফলে চাষিরা দ্রুত ক্ষেত থেকে তরমুজ বিক্রি করে দিচ্ছে। তাই স্থানীয় হাট-বাজারে সরবরাহ বেড়েছে তরমুজের।
তরমুজ ক্রেতা আব্দুল কাদের মাস্টার বলেন, কয়েক দিন আগে বাজার থেকে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনেছি। আজ হাটে এসে শুনতে পেলাম তরমুজের পিস মাত্র ১০০ টাকা। পরে পরিবারের জন্য ২ পিস ২০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। তবে, তরমুজের ভেতরে কেমন হবে জানি না।
(ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন