সুনামগঞ্জে ঝড়ে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘরবাড়ি

প্রলয়ংকরী ঝড়ে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ঘরবাড়ি, যানবাহন, দোকানপাট, গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে শতাধিক পরিবার। আহত হয়েছেন অনেক নারী-পুরুষ ও শিশু। প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে সকলে ভিড় করছে স্থানীয় বাজারগুলোর ফার্মেসিতে।
রবিবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে প্রলয়ংকরী ঝড় বয়ে যায় সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায়। চলে রাত ১১টা পর্যন্ত।
মাত্র ১০ মিনিটের এই ভয়াবহ ঝড়ে তছনছ করে দেয় সব কিছু। নিঃস্ব করে দেয় শত শত পরিবারকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে ঘরবাড়ি, যানবাহন, দোকানপাট, গাছপালাসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শত শত ঘরের টিন রাস্তা ঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কসহ চলাচল উপযোগী প্রায় সবকটি সড়ক প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতেই চলাচলের সড়কে পড়ে থাকা গাছা পালাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র সরানো হয়। এই উপজেলা সদরপুর, কামদরপুর পাগলা, রায়পুর, কান্দিগাঁও ও হাজিপাড়ায় গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি ভেঙে গিয়েছে। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।এছাড়াও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, দিরাই, শাল্লা, জগন্নাথপুর, ছাতক, দোয়ারা বাজার সহ সব কটি উপজেলায় ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রায়পুর পুরানবাড়ির হোসেন মিয়া জানান, আমার একমাত্র আশ্রয়স্থল ঘরটি পড়ে গেছে। আমার পাশের আরও দুটি ঘরও মাটির সাথে মিশে গেছে। আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছি।
একই গ্রামের মালিকুন বেগম জানান, ঝড়ে তার ঘরের চালের টিন পড়ে হাত কেটে ৭টি সেলাই লেগেছে। গ্রামের অনেকেই আহত হয়েছে।
পাগলা বাজারের ব্যবসায়ী আমজদ আলী, জামাল উদ্দিন জানান, আমাদের জীবনেও এমন ঝড় দেখিনি। সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। আমাদের ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ বলেন, ঝড়ে সামান্য আহত হয়েছি আমি নিজেও। তবু আমি ও ইউএনও সাহেব মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহা বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে প্রশাসনের পক্ষে থেকে।
(ঢাকা টাইমস/০১এপ্রিল/প্রতিনিধি/এসএ)

মন্তব্য করুন