মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ায় ৫ম স্থানে বাংলাদেশিরা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সেকেন্ড হোম (দ্বিতীয় বাড়ি) গড়ার জন্য পছন্দ র্শীষে রয়েছে মালয়েশিয়া। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে সেকেন্ড হোম গড়ার তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছেন বাংলাদেশিরা। চীন, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নাগরিকদের পরই বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী দাতুক সেরি তিয়ং কিং সিং দেশটির ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম’ (এমএম২এইচ) কর্মসূচির আওতায় এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন।
মালয়েশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১১ মার্চ সংসদে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে দাতুক সেরি তিয়ং বলেছেন, ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ৫৬ হাজার ৬৬ জন সক্রিয় ‘সেকেন্ড হোম’ পাসধারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে অংশগ্রহণকারী পাসধারীর পাশাপাশি নির্ভরশীল পাসধারীও রয়েছেন।
তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ায় সবার শীর্ষে আছেন চীনের নাগরিকরা। দেশটিতে চীনের ২৪ হাজার ৭৬৫ জন নাগরিকের মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম পাস রয়েছে। এরপরই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া; দেশটির এই সংখ্যা ৯ হাজার ২৬৫ জন। দক্ষিণ কোরিয়ার ৪ হাজার ৯৪০ জন, জাপানের ৪ হাজার ৭৩৩ জন, বাংলাদেশের ৩ হাজার ৬০৪ জন।
এছাড়া এই কর্মসূচিতে তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও ভারতের এক হাজারের বেশি করে এমএম২এইচ পাসধারী আছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মালয়েশিয়ার সরকার সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে সংস্কার আনে। সেই সময় এই কর্মসূচিকে তিন স্তরে বিভক্ত করা হয়।
এই তিন স্তর হলো— প্লাটিনাম, গোল্ড ও সিলভার। নতুন নিয়মে প্লাটিনাম স্তরের আওতায় আবেদনকারীদের ৫০ লাখ রিঙ্গিত, গোল্ড স্তরে ২০ লাখ ও সিলভার স্তরে ৫ লাখ রিঙ্গিত স্থায়ী আমানত থাকতে হবে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া বছরে মোট ৬০ দিন মালয়েশিয়ায় বসবাস করতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/০১এপ্রিল/এমআর)