বিজিবির কারণে বাঁচল থানচির সোনালী ব্যাংকের ভল্টের টাকা ও ম্যানেজার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৮ | প্রকাশিত : ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩০

বান্দরবানের থানচিতে ব্যাংকে ডাকাতির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। আর এতে রক্ষা পেয়েছে সোনালী ব্যাংকের ভল্টের প্রায় দুই কোটি টাকা। তাছাড়া এই আধাসামরিক বাহিনীর তৎপরতায় ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার ফয়সাল হুদাকেও অপহরণ করতে পারেনি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

বুধবার দুপুরে এই ঘটনার পর বিজিবির কড়া পাহারায় টাকাসহ ভল্টটি বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে সন্ত্রাসীরা থানচি কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের ক্যাশ থেকে কয়েক লাখ টাকা লুট করেছে।

জানা গেছে, এদিন দুপুর একটার দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা থানচি উপজেলা শহরে গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে স্থানীয় কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে প্রবেশ করে। ব্যাংকের সবাইকে জিম্মি করে ক্যাশে থাকা টাকা লুট করে। তবে কৃষি ব্যাংকের কোনো ভল্ট না থাকায় তারা সোনালী ব্যাংকে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তোলে। এসময় ব্যাংকের ম্যানেজার ফয়সাল হুদাকে জিম্মি করে ভল্ট ভাঙ্গার চেষ্টা চালানো হয়। তবে তাৎক্ষণিক বিজিবি সদস্যরা ঘটনার বিষয় জানতে পেরে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়। বিজিবি কাছাকাছি পৌঁছানোর বিষয়টি টের পেয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ভল্ট ও শাখা ম্যানেজারকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা থানচি শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।

৩৮ বিজিবির বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তৈমুর হাসান খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক আমাদের সদস্যদের ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ দিই। তারা ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সেখানে পৌঁছায়। এর আগেই আমাদের উপস্থিতির খবর পেয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ও ম্যানেজারকে রেখে পালিয়ে যায়।

সোনালী ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার ফয়সাল হুদা বলেন, সন্ত্রাসীরা ভল্টের চাবি না পেয়ে সেটি ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এসময় তারা আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। তবে বিজিবি আসছে এমন খবর পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

জানা গেছে, কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৪২ হাজার টাকা এবং ভল্ট ভাঙতে না পারলেও সোনালী ব্যাংক থেকে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে।

বিজিবির ৩৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগে পুরো শহর নিয়ন্ত্রণে নিই। এরপর ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে ব্যাংকের ভল্ট বান্দরবান শহরে নিরাপত্তা দিয়ে পৌঁছে দিয়েছি।

শহরের নিরাপত্তা ও অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে বিজিবির কী ভূমিকা থাকবে জানতে চাইলে তৈমুর হাসান খান বলেন, আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি। টহল অব্যাহত থাকবে। আর অভিযুক্তদের শনাক্তে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আমরাও কাজ করছি।

এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রুমা উপজেলায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কেএনএফ সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা ও ১৪টি অস্ত্র লুট করে বলে জানা গেছে।

(ঢাকাটাইমস/০৪এপ্রিল/এসএস/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :