ঢেউয়ের ছন্দে কুয়াকাটা সৈকতে মেতেছেন পর্যটকরা

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৬| আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৮
অ- অ+

ঈদকে ঘিরে উৎসবে মেতে উঠেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। আগমন হয়েছে হাজারো পর্যটক দর্শনার্থীর। যেন তিল ধারনের ঠাঁই নেই। আবাসিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট শতভাগ বুকিং রয়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের ধারণা এ বছর ঈদের ছুটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকদের আগমন ঘটেছে কুয়াকাটায়।

ঈদের দিন (১১ এপ্রিল) ও ঈদের পরের দিন (১২ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে কুয়াকাটা সৈকতে। শনিবার সকালেও ছিল একইরকম ভিড়।

ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে কুয়াকাট সমুদ্র সৈকতে ছুটে এসেছে শিশু কিশোরসহ নানা বয়সী হাজার হাজার পর্যটক। ঈদের প্রথম দিন পর্যটক কিছুটা কম থাকলেও দ্বিতীয় দিন থেকে ঢল নামে সমুদ্র সৈকতে। আগামী এক সপ্তাহ এমন ভিড় থাকবে বলে আশা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের।

একদিকে ঈদ অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ। তাই বাড়তি ছুটি পেয়েছেন পর্যটক দর্শনার্থীরা। এই বাড়তি ছুটি কাটাতে পরিবার পরিজন, বন্ধু বান্ধব নিয়ে সমুদ্রের মুক্ত হাওয়ায় ঘুরে বেড়াতে এবার কুয়াকাটাকেই বেছে নিয়েছেন বেশিরভাগ ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। অনেকেই নতুন বিয়ে করে হানিমুনে কুয়াকাটা এসেছেন। আগত পর্যটকদের যেন আনন্দের সীমা নেই।

দিনভর সমুদ্রে গোসল, হই হুল্লোড়ে মেতে ওঠেন পর্যটকরা। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের আনন্দ উম্মাদনা যেন ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। কেউ ঘোড়ায় চরে সৈকতে ঘুরে বেড়িয়েছেন, কেউবা বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্র ও সমুদ্রের আছড়ে পড়া বড় বড় ঢেউ। আবার কেউ সেল্ফি তুলে কিংবা ক্যামেরায় বন্দি হয়ে নিজেকে স্মৃতির পাতায় আবদ্ধ করে রাখছেন।

শুধু তাই নয়, কেনাকাটার পাশাপাশি ঘুরে বেড়িয়েছেন কুয়াকাটার বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটগুলোয়। আগত হাজার হাজার পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো সৈকত এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আগত পর্যটক দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ সৈকত। এখানকার পরিবেশ প্রতিবেশ আগের চেয়ে আরও সুন্দর হয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে সাগরকণ্যার রুপ লাবণ্য যেন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূর্যোদয় সূর্যাস্তের মতো বিরল দৃশ্য দেখে তারা অভিভূত। নিরাপত্তা ও আতিথিয়েতায় খুশি পর্যটকরা।

এদিকে ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সৈকত এলাকা সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। দর্শনীয় স্পটগুলোতে নিরাপত্তা চৌকি বসানোর পাশাপাশি সাদা পোশাকে নজরদারি রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের।

বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি, ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং থানা পুলিশ সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য বর্ধন এবং শৃঙ্খলারক্ষায় একযোগে কাজ করছে। বিগত বছরের চেয়ে এই ঈদে পর্যটকরা নির্বিঘ্নে ঘোরাঘুরি এবং আনন্দ উপভোগ করতে পারছেন বলে ঢাকা টাইমসকে জানান কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ।

বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, খাবার হোটেল, আবাসিক হোটেল থেকে শুরু করে সবকিছুতেই আগের চেয়ে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও সেবা দিয়ে আসছে। এছাড়াও চল্লিশ জন স্কাউটের রেসকিউ টিম পর্যটক সেবায় সেচ্ছায় সেবা দিয়ে আসছেন। অন্যদিকে পর্যটকের সেবায় একজন নির্বাহী মেজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া সৈকত এলাকায় ভাসমন দোকানপাট, মোটরবাইক সহ পর্যটকদের ভোগান্তি হয় এমন সব ধরনের বিষয়গুলোকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হয়েছে। পূর্বেকার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। আশা করছি পর্যটকরা কুয়াকাটা সৈকতে ভ্রমণে এসে স্বচ্ছন্দে উপভোগ করতে পারবেন।

(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো: জামায়াত আমির
জামালপুরে মাদ্রাসায় ছাত্রী ভর্তিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে ডিএনসিসির কর বকেয়া ৩০ কোটি টাকা
শহীদ নিজামীর খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ: রফিকুল ইসলাম 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা