তিন হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর, পাল্টা হামলা হিজবুল্লার

ইরানের সঙ্গে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর দুই সামরিক কমান্ডারসহ তিন যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এদিকে দুই কমান্ডারসহ তিন যোদ্ধাকে হত্যার জবাবে ইসরাইলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে লেবানন ভিত্তিক সংগঠনটি।
মঙ্গলবার ইসরাইলি বাহিনী (আইওএফ) দক্ষিণ লেবাননের কাফার দোনিনে বিমান ও ড্রোন হামলা চালালে ওই তিন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হন।
এক বিবৃতিতে আইওএফ জানায়, নিহতদের মধ্যে এক কমান্ডারের নাম ইউসেফ বাজ। তিনি হিজবুল্লাহর সামরিক শাখার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। তার গাড়িতে ড্রোন হামলা চালানো হয়।
নিহত ইউসেফ বাজ হিজবুল্লাহর সামরিক শাখার বেশ কয়েকটি পদে দায়িত্ব পালন করা একজন সিনিয়র নেতা ছিলেন। তার বর্তমান পদমর্যাদা একজন ব্রিগেড কমান্ডারের সমতুল্য।
তেল আবিবের দাবি, লেবাননের উপকূলীয় এলাকা থেকে ইসরাইলে রকেট ও ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরিকল্পনায় এ কমান্ডার জড়িত ছিলেন।
লেবাননের আরবি ভাষার আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরাইলের মেরন বিমান নিয়ন্ত্রণ ঘাঁটি এবং বেইট হিলেল সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট ও আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করেছে।
ইসরাইলি আর্মি রেডিও বলছে, লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠী উত্তরে দখলকৃত অঞ্চলের পশ্চিম গ্যালিল এলাকায় কমপক্ষে ২০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর জানায়নি তেল আবিব।
উল্লেখ্য, গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত প্রায় ৮০ হাজার। এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার গাজাবাসী।
গাজায় গণহত্যা শুরুর পরপরই ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে লেবানন সীমান্তে ইসরাইলের বিভিন্ন সেনা ঘাঁটি ও অবস্থানে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ।
সংগঠনটি বলছে, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের হামলা থামবে না।
সূত্র: সিএনএন ও আল-মায়াদিন টেলিভিশন লেবানন
(ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/পিএস)

মন্তব্য করুন