মা-বাবার কোলে ফিরতে চায় শিশু জুনায়েদ

এনামুল হক ও বৃষ্টি খাতুন দম্পতির ছেলে শিশু জুনায়েদ হোসেন। তাদের বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের নারিকেলী উত্তরপাড়া গ্রামে। বুধবার সকালে নওগাঁ-সান্তাহার বাইপাস সড়কের সাহাপুর ইয়াদ আলী মোড় এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শিশুটির মা-বাবা দুজনেই মারা যায়। সে সময়ে তাদের সঙ্গে থাকা ছোট্ট শিশু জুনায়েদও আহত হয়। শিশু জুনায়েদ হাসপাতালে চিকিৎসার পরে বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরে। বাড়ি ফিরে অবুঝ জুনায়েদ তার মা-বাবার কোলে ফিরতে চায়। জুনায়েদ আজও জানে না যে, তার মা-বাবা আর বেঁচে নেই।
হাসপাতাল থেকে জুনায়েদ তার দাদার সঙ্গে বাড়ি ফিরে মাকে খুঁজতে থাকে। এই সময় তার মা-বাবা উঠানে পাশাপাশি দুটি খাটিয়ায় শুয়ে ছিলেন চিরনিদ্রায়।
জুনায়েদের দাদা আকরাম হোসেন বলেন, এনামুল আনসার সদস্য হিসেবে অগ্রণী ব্যাংকের বগুড়ার মাঝিড়া ক্যান্টনমেন্ট শাখায় কর্মরত ছিলেন। বুধবার সকালের দিকে মোটরসাইকেলে করে শিশু জুনায়েদসহ তারা তিনজন বাড়ি থেকে নওগাঁর নওহাটায় এক কবিরাজের কাছে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নওগাঁ-সান্তাহার বাইপাস সড়কের শাহপুর ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় তাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে আরেকটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ছেলে ও পুত্রবধূ মারা যায়।
এনামুল হকের ছোট ভাই একরামুল হক বলেন, ‘জুনায়েদ হাসপাতালে ভর্তি ছিল। আমরা বুধবার সন্ধ্যায় তাকে বাড়িতে এনেছি। ওই দিন রাত ১০টায় বড় ভাই ও ভাবিকে দাফন করা হয়। জুনায়েদ এখন অসুস্থ। সে বারবার মায়ের কোলে যেতে চাচ্ছে। সে যখন জানবে যে তার মা-বাবা কেউ বেঁচে নেই, তখন কীভাবে তাকে সান্ত্বনা দেব?’
নওগাঁ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক জানান, দুটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আরোহীরা সড়কের ওপর ছিটকে পড়েছিলেন। তখন একটি ট্রাক তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
(ঢাকা টাইমস/১৮এপ্রিল/প্রতিনিধি/এসএ)

মন্তব্য করুন