মুগদায় ভেঙে দেওয়া হচ্ছে সড়কের পাশের স্থাপনা

মুগদা থেকে মান্ডা যাওয়ার সড়ক বড় করার লক্ষ্যে দুই পাশের দোকানপাট ও বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) যৌথ উদ্যোগে এটি করা হচ্ছে। রবিবার মুগদা-মান্ডা ব্রিজ থেকে মুগদার দিকের সড়কে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সড়ক সংকীর্ণ অবস্থায় ছিল, ফলে দিনরাত সবসময়ই দীর্ঘ যানজট লেগে থাকত। রাস্তাকে বড় করার স্বার্থে রাস্তার দুই পাশের দোকানগুলোর কিছু অংশ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। করপোরেশনের এ অভিযানে সহযোগিতা করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এসব দোকান মালিকদের একাধিকবার এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। এরপর আমরা অভিযান শুরু করেছি। আজকের (রবিবার) অভিযান মান্ডা ব্রিজ থেকে মুগদা প্রধান সড়কের দিকে রাস্তার দুপাশে পরিচালিত হয়েছে।’
এদিকে অভিযান শুরুর পরই সামনের দিকের দোকানগুলো নিজ উদ্যোগে মালামাল সরিয়ে রাস্তার মধ্যে থাকা অংশগুলো ভেঙে দিচ্ছেন নিজেরাই।
অন্যদিকে ক্ষতিপূরণ ছাড়া দোকানগুলো না ভাঙতে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। তারা বলেন, মুগদা এলাকার প্রধান সড়কের দুই পাশের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে নিজস্ব জমিতে আমাদের পূর্বপুরুষরা এবং আমরা রাজউকের অনুমোদন নিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। মুগদা প্রধান সড়কটি সর্বশেষ ঢাকা সিটি জরিপ অনুযায়ী ৩০ ফুট প্রশস্ত। সম্প্রতি রাজউকের নোটিশের মাধ্যমে জানতে পারি এ সড়ক ৫০ ফুট বা ৬০ ফুট প্রশস্ত করা হবে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, তাদের জমিগুলো এখনো আইনিভাবে অধিগ্রহণ করেনি সরকার। কী পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করা হবে এবং ক্ষতিপূরণ কী দেওয়া হবে তাও জানায়নি। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে রবিবার সড়কের আশপাশের সব স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে।
এলাকার বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘একটি হাউজিং কোম্পানির কাছ থেকে সুবিধা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এ কাজ করছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশে কি কোনো আইন নেই? এভাবে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে আমাদের সম্পদ ভাঙচুর করা বেআইনি।’
(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/জেবি/কেএম)

মন্তব্য করুন