ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিবে জ্যামাইকা

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকার সরকার। একই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি। খবর আলজাজিরার।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘের সনদের নীতিগুলোর প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদান করতে চায়।’
বিবৃতিতে জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ বলেছেন, তার দেশ সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান দেখতে চায়।
এদিকে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জ্যামাইকার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা দেয়ার বিষয়ে সম্প্রতি এক ভোটাভুটি হয়। তবে যু্ক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।
কাউন্সিলের ১৫ সদস্যকে এই বিষয়ে খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেয়ার আহবান জানানো হয়, আলজেরিয়ার উত্থাপিত এই প্রস্তাবে বলা হয়, “ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দেয়া হোক”।
নিরাপত্তা কাউন্সিলের ১২টি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, যার মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তিন মিত্র– ফ্রান্স, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড এতে ভোট প্রদানে বিরত থাকে।
যদি নিরাপত্তা কাউন্সিলে এ প্রস্তাব পাশ হতো, তাহলে সাধারণ পরিষদে এ নিয়ে ভোট হতো, এবং ফিলিস্তিনের সদস্য হতে সেখানে দুই তৃতীয়াংশ ভোট হলেই চলতো।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রদানকে ‘অনৈতিক’ বলে বর্ণনা করেন, আবার ইসরায়েল জাতিসংঘের এই প্রস্তাবকেই লজ্জাজনক বলে অভিহিত করে।
(ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/এমআর)

মন্তব্য করুন