যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ, ‘ভয়াবহ’ সহিংসতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০১ মে ২০২৪, ১৯:৪৮
অ- অ+

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান বিক্ষোভ আরও দানা বাঁধছে। যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্তত আরও ছয় দেশে। খবর বিবিসির

যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়, ইউসিএল ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। তাঁবু গেড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউবেক ক্যাম্পাসে। দেশটির মন্ট্রিলের কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও ফিলিস্তিনপন্থীরা বিক্ষোভ করছেন।

এছাড়া মিসরের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি জন কায়রো ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ হয়েছে। এরপর ফ্রান্সের সায়েন্সেস পো অ্যান্ড সারবোন ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিজ ক্যাম্পাস এবং ইতালির স্যাপিয়েঞ্জা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও হয়েছে বিক্ষোভ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারী এবং ইসরায়েলপন্থি একটি দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

ইউসিএলএর উপাচার্য মেরি ওসাকো ঘটনাকেভয়াবহ সহিংসতা বলেছেন। সংঘর্ষের পর সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ডাকা হয়েছে।

বিবিসি জানায়, নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযানের কয়েক ঘণ্টা পর লস অ্যাঞ্জেলেসের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই বিরোধী পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সোশাল মিডিয়ায় আসা ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখোশ পরা ইসরায়েলসমর্থকরা ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করে।

লস অ্যাঞ্জেলেসের পুলিশ বিভাগ এক্সে বলেছে, ক্যাম্পাসে ব্যাপক সহিংসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে তারা সেখানে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সপ্তাহ দুয়েক আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। ধীরে ধীরে এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসে অস্থায়ী শিবির বসিয়েছেন। কয়েক দিন ধরে চলা বিক্ষোভ দমনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। তারা বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শত শত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছেন। কিছু কিছু ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর শক্তিপ্রয়োগ করেছেন পুলিশ সদস্যরা। কোথাও কোথাও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

এর মধ্যেও ক্যাম্পাসগুলোতে তাঁবু খাটিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় সমর্থন দেওয়া ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে অভিযানে গাজায় যুদ্ধবিরোধী ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেওয়া হয়। সময় বহু বিক্ষোভকারীকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরাইল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্যক্তিকে বর্জনের ডাক দিয়ে চলছে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাবু গেঁড়ে ধারাবাহিক প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। ঘটনায় সোমবার বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় দুপুর ২টার মধ্যে শিবির ছেড়ে না গেলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও আলটিমেটাম দেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আলটিমেটামে কাজ না হওয়ায় নিউইয়র্ক সিটিপুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অভিযান চালায়। পুলিশ প্রবেশের পর ঘণ্টার মধ্যে হ্যামিল্টন হল ওই তাবু শিবির থেকে সবাইকে হটিয়ে দিয়ে সেগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। সময় বহু বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারদের হাত পিঠমোড়া করে বেঁধে পাহারা দিয়ে পুলিশের বাসগুলোতে তুলে নেওয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/০১মে/কেএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মানবিক করিডরের নামে কোনো কিছু জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না, মির্জা ফখরুলের হুঁশিয়ারি 
জম্মু-কাশ্মীরে হামলার ভারতীয় প্রতিবেদন ‘ভুয়া এবং মিথ্যা’: পাকিস্তান
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
হোটেল আমারিতে পুলিশ-ডিএনসির যৌথ অভিযান চলছে 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা