বিদেশে গিয়ে কাগজপত্র সত্যায়নের ঝামেলা আর থাকছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিদেশগামী শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ভ্রমণকারীদের বিভিন্ন সনদ ও ব্যক্তিগত হলফনামার নানা তথ্য সত্যায়নের পরও অনেক সময় সংশ্লিষ্ট দেশে গেলে সেগুলো পুনরায় সত্যায়নের প্রয়াজন পড়ে। এতে করে বেড়ে যায় খরচ। আন্তর্জাতিক একটি সনদে স্বাক্ষরের ফলে সেটির আর প্রয়োজন পড়বে না। ফলে আন্তর্জাতিক সেই সনদে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, মন্ত্রিসভায় এপোস্টল কনভেনশন স্বাক্ষরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই কনভেনশনে স্বাক্ষর সম্পাদন হলে বিদেশগামী শিক্ষার্থী ও মানুষের বিভিন্ন সনদ, দলিল, হলফনামায় নিজ দেশের যথাযথ সত্যায়ন থাকলে অন্য দেশে গিয়ে পুনরায় সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না এবং এর ফলে বছরে দেশের মানুষের প্রায় ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই প্রস্তাবটি সোমবার মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত আজ মন্ত্রিসভা দিয়েছে। এটি কার্যকর হলে শিক্ষার্থী, অভিবাসী, কর্মী, পারিবারিক পুনর্মিলন প্রত্যাশীসহ বিদেশগামী সবার যেসমস্ত ডকুমেন্ট এ দেশে এবং বিদেশের দূতাবাসসহ নানা দপ্তরে সত্যায়নের প্রয়োজন হয়, সেটি শুধু বাংলাদেশে সত্যায়ন করলেই হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সব দেশের দূতাবাস নেই। ৯০টি দেশের দূতাবাস রয়েছে দিল্লিতে। সেখান থেকে সত্যায়ন করে আনতে আবার ভারতের ভিসা লাগে। এ সবের জন্য যে অর্থ, সময় ও পরিশ্রম ব্যয় হয়, এই কনভেনশনে যুক্ত হলে তা বেঁচে যাবে, এতে বছরে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।’
এটি কার্যকর হতে প্রায় ৬ মাস লাগবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এপোস্টল কনভেনশনে যুক্ত হতে এর ১২৬টি সদস্য রাষ্ট্রকে অবহিত করতে হয়, কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে।’
সাংবাদিকরা এ সময় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রেইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ মৃত্যুকে মর্মান্তিক ও অত্যন্ত দু:খজনক বলে বর্ণনা করেন ও নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণ করেছে, কিন্তু পরে দেখা যায় সেটি ক্র্যাশ করেছে। আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক জানাচ্ছি।’
(ঢাকাটাইমস/২মে/এমএইচ/এসআইএস)

মন্তব্য করুন