শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা: অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা -কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের মাওনা চৌরাস্তায়। পানি নিষ্কাশনের তেমন ব্যবস্থা না থাকায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন উপজেলার হাজারো মানুষ।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, মাওনা-শ্রীপুর আঞ্চলিক সড়ক মাওনা চৌরাস্তায় এসে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মিশেছে। আরেকটি সড়ক মাওনা থেকে কালিয়াকৈরে গেছে। মাওনা-শ্রীপুর সংযোগ সড়কের দুই পাশে রয়েছে কয়েকশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে শতাধিক বাড়িঘর। রয়েছে ৩০টির মতো ব্যাংকের শাখা কার্যালয়। আশপাশে রয়েছে বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান। গুরুত্বপূর্ণ এই চৌরাস্তার শ্রীপুর মুখী সড়কের প্রবেশ মুখে আজ বেলা ১১টা থেকে হওয়া বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার ফলে মানুষ ময়লাযুক্ত পানির মধ্য দিয়েই চলাচল করছে। রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ সব পরিবহণ চলাচল করছে পানির মধ্য দিয়েই। এ সময় দু একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়তেও দেখা গেছে।
মাওনা চৌরাস্তার একটি শপিং মলে কেনাকাটা করতে আসা সালমা আক্তার বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ এই চৌরাস্তার এ হাল, বর্ষাকালে কী হবে ভাবা যায় না। সড়কের এপার থেকে ওপার যেতে কাদা আর ময়লা পানি ঠেলে যেতে হয়। এতে ভিজে কাপড় ভিজে যায়।’
উপজেলার গাজীপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রিকশা থেকে নেমে পানির মধ্যে হেঁটে এ পর্যন্ত আসলাম। রাস্তার ওপর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া এসব পানি বিভিন্ন টয়লেটের পানির সঙ্গে মিশে গেছে। এই পানি শরীরের মধ্যে লাগলে চর্মরোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে বর্ষাকালে এই ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।
মাওনা চৌরাস্তা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলাম রতন বলেন, পৌরসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান মাওনা চৌরাস্তা। তবে বৃষ্টি হলেই এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে অনেক মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে এর একটি স্থায়ী সমাধান দরকার।
জানতে চাইলে শ্রীপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজগর আলী বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর গড়ে ওঠার ফলে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নাই। অল্প বৃষ্টিতেই ড্রেনের মুখগুলো বন্ধ হয়ে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মাওনা চৌরাস্তার এই জলাবদ্ধতার নিরসন পৌরসভার দায়িত্কোব নয়। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাজ। তারপরও আমরা আবেদন করেছি তাদের কাছে, যেটুকু করতে পারছি কিছুটা সমস্যার সমাধান হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২২জুন/পিএস)

মন্তব্য করুন