৩ উইকেট যাওয়ার পর সেমির জন্য খেলেনি বাংলাদেশ, দলের পরিকল্পনা জানালেন শান্ত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে টানা দুই ম্যাচে হেরেও সেমিফাইনালে যাওয়ার সূবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সমীকরণ মিলিয়ে শেষ চার নিশ্চিতের লক্ষ্যে শুরুতে আশা দেখিয়েছিলেন টাইগার বোলাররা। ১১৫ রানেই রশিদ খানদের আটকে রাখে বাংলাদেশ। সেমিতে যেতে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো নাজমুল হোসেন শান্তদের।
সেটা তো দূরের কথা, শেষ পর্যন্ত ম্যাচই জিততে পারেনি টিম টাইগার্স। বৃষ্টি আইনে ৮ রানের জয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হারে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ারও।
যদিও টার্গেট তাড়ায় শুরুটা খারাপ করেনি বাংলাদেশ। তানজিদ তামিমকে দ্রুত হারালেও লিটনের ব্যাটে চড়ে আফগান বোলারদের ভালোই জবাব দিচ্ছিল টাইগাররা। পরপর দুই বলে শান্ত-সাকিবের বিদায়ে কিছুটা থমকে যায়। এক ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পাঁচ ডট হজমের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, আসলেই কী বাংলাদেশ সেমির টার্গেট নিয়ে খেলছে? এরপর এক প্রান্তে লিটন টিকে থাকলেও অন্য প্রান্তের ব্যাটাররা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেমি-ফাইনালের সমীকরণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘পরিকল্পনাটা এমন ছিল যে আমরা প্রথম ৬ ওভার চেষ্টা করব। পরিকল্পনা ছিল, যদি আমরা ভালো শুরু করি, দ্রুত উইকেট যদি না পড়ে, তাহলে আমরা সুযোগটা নেব। কিন্তু যখন আমাদের দ্রুত ৩ উইকেট পড়ে গেল, তখন আমাদের পরিকল্পনা ভিন্ন ছিল—যেন আমরা ম্যাচটা জিততে পারি। তারপরও আমি বলব, মিডল অর্ডার ভালো সিদ্ধান্ত নেয়নি। যার কারণে ম্যাচটা আমরা হেরে গেছি।’
প্রথম ওভারে ১৩ রান নিয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু পরে টানা দুই ওভারের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্ত ও সাকিব আল হাসান দুজন ফেরেন নাভিন উল হকের টানা দুই বলে। টপ অর্ডারদের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন শান্তও। তিনি বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে উন্নতি করা দরকার, টপ-অর্ডার ভালোভাবে পারফর্ম করতে পারেনি। এটা হতেই পারে যখন বল ভিজে গেছে। আমি যেমন বলেছি, পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারিনি ব্যাট হাতে। আর অনেক সিদ্ধান্ত ভুল হয়েছে। ’
নিজেদের বোলিং নিয়ে শান্ত বলেন, ‘বোলিংয়ে আমাদের পরিকল্পনা ছিল শুরুর দিকে উইকেট নেওয়া। কিন্তু গুরবাজ ও ইব্রাহিম খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। মাঝের ওভারে আমরা খেলা নিয়ন্ত্রণ করেছি। বোলাররা দারুণ করেছে। আমি ব্যাটিং গ্রুপের কথা বলব যে বিশেষ করে মিডল অর্ডারে খুব বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটারই মূল্য দিতে হয়েছে আমাদের।’
তাওহিদ হৃদয়কে ৬ নম্বরে খেলানোর কারণ জানিয়ে শান্ত বলেন, ‘ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে আমি বলব, আজকে আমরা যে পরিবর্তনটা করার চেষ্টা করেছি, সেটা বাঁহাতি-ডানহাতি সমন্বয়ের কারণে। লিটন এক দিকে ব্যাটিং করছিল। ওদের বোলিংয়ে অনেক বৈচিত্র্য ছিল। এ কারণে বাঁহাতি-ডানহাতি সমন্বয়ের প্রয়োজন ছিল। এটা সবাই জানত। সবাই এ ব্যাপারে পরিষ্কার ছিল।'
(ঢাকাটাইমস/২৫ জুন/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন