হবিগঞ্জে হত্যা মামলার আসামিদের বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগ, ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার আগুয়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চারজনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামিদের বাড়ি ঘরে ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বাদী পক্ষের লোকজন আসামিদের বাড়ি ঘরে লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইয়াছমিন আক্তারসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী নারী।
বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইয়াছমিন অভিযোগ করে বলেন, ২০১৪ সালের ৯ মে আমাদের গ্রামে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয়েছিল। ওই ঝগড়ায় ৪ জন লোক মারা যান। ওই ঘটনায় মো. জুটন মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় অনেক নিরপরাধ মানুষকে মিথ্যা অভিযোগে আসামি করা হয়।
অথচ মামলার বাদী মো. জুটন মিয়া ও তাদের দলনেতা আলী আহমদ সোহেলের নেতৃত্বে প্রকৃত খুনিদের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা নিয়ে তাদেরকে খুনের মামলায় আসামি করেনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ওই খুনের পরপরই গ্রামের পুরুষরা বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যায়। এক পর্যায়ে গ্রামটি পুরুষ শূন্য হওয়ার সুযোগে আলী আহমদ সোহেলের নেতৃত্বে মহিলা, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ লোকদের উপর নির্যাতন শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে প্রত্যেক আসামির বাড়ি-ঘর লুটপাট, ভাঙচুর করা হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, লুটপাটকারীরা বাড়ি-ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র, ফ্রিজ, টিভি, সোফা, খাট, ডাইনিং টেবিল-চেয়ার, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, পানির টিউবওয়েল, ঘরের টিন, গরু-ছাগল, হাঁসমুরগি, ধান-চাল, মোটর সাইকেল, পাওয়ার টিলার, মাড়াই কলসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার মূল্যবান জিনিস পত্র নিয়ে গেছে।
এছাড়াও বাদী পক্ষের লোক আলী আহমদ সোহেল ও তার লোকজন প্রতিদিন মামলার আসামিরগণের স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবা ও ভাই-বোনদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ জেলার অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট আলী আহমদ সোহেল ও তার দলীয় লোকজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দাবি জানান তিনি।
লুটপাটের ঘটনায় একটি মামলা হলেও ১নং আসামি আলী আহমদ সোহেলসহ অন্য আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। এমন অভিযোগ করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
(ঢাকাটাইমস/০৩জুন/পিএস)

মন্তব্য করুন