পিএসএলের চেয়ে বিপিএল ভালো: রশিদ লতিফ

সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী বাবর আজমের দল ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যর্থ। ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের সীমানা পেরিয়ে সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি তারা, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পারেনি গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সুপার এইটে উঠতে। অথচ তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলার পর এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নই হয়ে গেছে।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর এমন দ্বিমুখী যাত্রার পেছনের কারণ কী হতে পারে, সেটার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ। তার চোখে, ভারত যেখানে বলিউডের মতো করে তাদের ক্রিকেটটাকেও একটা ব্যবসা ভেবে কাজ করছে, পাকিস্তান এখনো সেটিকে শখ হিসেবেই দেখছে। এমনকি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল) পিএসএলের চেয়ে ভালো বলে মত দিয়েছেন তিনি।
রশিদ লতিফ ভারতের ক্রিকেট কাঠামোর প্রশংসা করে নিউজ ১৮-কে বলেছেন, ‘ভারত তাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মতো ক্রিকেট ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন করেছে। আমরা ক্রিকেটকে এখনো শখ হিসেবেই দেখছি। এ কারণেই আমরা এটাকে ব্যবসায় রূপ দিতে পারছি না।’
সামনে এগিয়ে যেতে না পারার উদাহরণ হিসেবে রশিদ লতিফ পিএসএলের কথা বলেছেন, ‘পিএসএল যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, এখনো সেখানেই পড়ে আছে। সর্বোচ্চ বেতন সীমা ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। তারা এটাকে কেন আর বাড়াতে পারছে না? আমরা কেন মিচেল স্টার্ক বা প্যাট কামিন্সের মতো খেলোয়াড় পাই না? কারণ, আমাদের অর্থ নেই, তাই ব্যবসাও নেই।’
ভারত যে সফলভাবে আইপিএলে রিকি পন্টিং-মাইক হাসির মতো বিদেশি কোচদের নিয়োগ দিতে পারছে এবং এটা যে তাদের ক্রিকেটকে বিশ্বদরবারে আরও এগিয়ে নিচ্ছে, রশিদ সেটাও তুলে ধরেছেন, ‘এমন নয় যে ভারত বিশ্ব ক্রিকেটে পরাশক্তি হয়েছে এই বিশ্বকাপের পর বা সাম্প্রতিক সময়ে। ২০০৭, ২০১১, ২০১৫ সালের দিকে তাকান। তারা বিদেশি কোচদের কাছ থেকে অনেক জ্ঞান অর্জন করেছে। একই সময়ে তারা তৃণমূলেও কাজ করছে।’
ভারতের ক্রিকেটের তরতরিয়ে এগিয়ে যাওয়া নিয়ে এরপর রশিদ লতিফ আইপিএল, পিএসএল আর বিপিএলের তুলনাও টেনেছেন, ‘আইপিএলও একটা ব্যাপার হয়ে এসেছে। তাদের এখন সব সেরা লোকগুলো আছে। ডিসির (দিল্লি ক্যাপিটালস) পন্টিং, হাসি ও ব্রাভো আছে। কিন্তু আমরা কী করছি?’
এমনকি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল) অর্থকড়ির বিচারে পিএসএলের চেয়ে ভালো বলে মত দিয়েছেন লতিফ, ‘পিএসএলের ধারণাটা যারা নিয়ে এসেছিলেন, সবাইকে বছরখানেকের মধ্যে বের করে দেওয়া হলো। তাদের একটা স্বপ্ন ছিল এটাকে আরও বড় করার, কিন্তু সেটা আর হয়নি। আমাদের চেয়ে বেশি (বিদেশি) খেলোয়াড় তো বাংলাদেশে খেলছে! মঈন আলী সেখানে খেলে, ডেভিড মিলার খেলে…কারণ ওদের ওখানে বেশি টাকা আছে। আমরাই শুধু এগোতে পারলাম না।’
(ঢাকাটাইমস/০৯ জুলাই/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন