আবেদ দোষী হলে তদন্ত করে ডাসারকে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি ইউপি চেয়ারম্যানের

প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী ও তার ছেলে সোহানুর রহমান সিয়ামকে নিয়ে তার নিজ জেলা মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার সর্বত্র চলছে ব্যাপক সমালোচনা। অনেকেই ক্ষোভে প্রকাশ করে তদন্ত সাপেক্ষে আবেদ আলী দোষী হলে আইনের আওতায় এসে ডাসার উপজেলাকে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি করছেন। আবেদ আলীর নিজ ইউনিয়নে বালীগ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মোল্লা গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মোল্লা বলেন, ‘দুই দিন ধরে আবেদ আলীকে নিয়ে গণমাধ্যমে সমালোচনা চলছে। তিনি আগে কি ছিল, আর এখন কিভাবে কোটি কোটি টাকা করে বাড়ি-গাড়ি করলো, সেটা আমরা জানি না। শুধু একটুকু জানি, সে আগে বাড়িতে আসতো না। এখন মাঝে মাঝে বাড়িতে আসে। এসে গরীব দুঃখীদের দান-খয়রাত দেয়। আবার জমি-জমা কিনে। আগামীতে ডসার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনও করবে। সেই মানুষ এখন হাজতে কীভাবে গেলো, আমরা বুঝি না।’
মতিন মোল্লা বলেন, ‘আবেদ আলীর কারণে এখন সারাদেশে ডাসার উপজেলার নাম প্রচার হচ্ছে। তার জন্যে যে কলঙ্ক হলো, এটার দায়-ভার কে নেবে। আমি দাবি করবো, জোরালো তদন্ত করে আবেদ আলী দোষী হলে কঠোর শাস্তির মাধ্যমে ডাসার উপজেলাকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। কারো জন্যে উপজেলার বদনাম সহ্য করা যাবে না। সে যদি নিজে দুর্নীতি করে থাকে, তার দায়-দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। আমরা এর অপমান সহ্য করবো না।’
আবেদ আলীর সাবেক কর্মকাণ্ড নিয়ে আব্দুল মতিন বলেন, ‘এক সময়ে আবেদ আলী ঢাকায় ফুটপাতে থাকতো। কুলির কাজও করতে হয়েছে। যেভাবেই হোক পিএসসিতে চাকুরীর সুবাদে কলা গাছ থেকে আঙুর ফল বের হচ্ছে। এটা কীভাবে করলো, সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু এটা অসম্ভব যে, গাড়ি চালিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়া যায়। তাই আবেদের এসব সম্পত্তির খোঁজও মানুষের জানতে হবে।’
এদিকে আবেদ আলী ও তার পুত্র সোহানুর রহমান সিয়ামের গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে পুরো মাদারীপুর জেলা জুড়েই সমালোচনা ঝড় বইছে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লায় চলছে আলাপ-আলোচনা। সেই সঙ্গে তার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া নিয়েও ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন আবেদ আলীর ঘরোয়া লোকজন।
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস নিয়ে পিএসসির বিরুদ্ধে চ্যানেল ২৪ এ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সৈয়দ আবেদ আলীর পোস্টগুলো ভাইরাল হতে থাকে। এ ঘটনায় সোমবার (৮ জুলাই) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে মামলা করে। মামলায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
(ঢাকাটাইমস/০৯জুলাই/কেএম)

মন্তব্য করুন